দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে টেক জায়ান্ট মেটার মালিকাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার মূলত একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং ও ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য ও ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস ও ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান ও অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
এবার ইন্টার-অপারেবল সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যে কারণে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রামসহ আইমেসেজ ব্যবহারকারীদের বার্তা পাঠানো ও তাদের পাঠানো বার্তাও পড়া যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগও পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটাইনফোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য সান।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তথ্য আদান-প্রদানের নতুন এই সুবিধা চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপে তখন একটি বাটন দেখা যাবে। এতে ট্যাপ করে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ হতে অন্য অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্তা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে চ্যাটও করা যাবে। তবে এইসব বার্তা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে আদান-প্রদান নাও হতে পারে। এতে হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান করা বার্তার মতো নিরাপত্তাসুবিধাও পাওয়া যাবে না।
ইন্টার-অপারেবল সুবিধা চালু হলেই হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে তখন ‘থার্ড পার্টি চ্যাট রিকোয়েস্ট’ নামে একটি অপশন শো করবে। ওই অপশনটি নির্বাচন করে অন্য অ্যাপে বার্তা আদান-প্রদান সুবিধা চালু কিংবা বন্ধও করা যাবে। অপর অ্যাপ হতে আসা বার্তাগুলো হোয়াটসঅ্যাপে পৃথক একটি ইনবক্সে জমা হবে। যে কারণে বার্তাগুলো সহজেই পড়া যাবে। এটি প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা এই সুযোগ পাবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org