দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান অভিনীত এই সিনেমাটি এ মাসের ১৫ তারিখ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
জানা যায়, সারাদেশের ৭০টি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সেইসঙ্গে ২০টি দেশের আরও দুই শতাধিক সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানান এর নির্মাতা।
সিনেমাটি নিয়ে খুব একটা প্রচার না হলেও প্রকাশ পেয়েছে দরদের গান এবং ট্রেলার। গানটি ইতিমধ্যেই শাকিবভক্তরা পছন্দ করেছেন। ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় একসঙ্গে প্রকাশ করা হয় একটি গানের দু’টি ভার্সন- হিন্দি এবং বাংলা।
‘জিসম মে তেরে’ শিরোনামে হিন্দি গানটি গেয়েছেন মোহাম্মদ ইরফান এবং রুবাই। লিখেছেন এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন আরাফাত মাহমুদ। গানটির বাংলা ভার্সনের শিরোনাম ‘এই ভাসাও’। আরাফাত মাহমুদ এবং জাহিদ আকবরের লেখা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম এবং কোনাল।
সংগীত পরিচালনায় ছিলেন আরাফাত মাহমুদ। গানের ভিডিওতে বলিউডের সোনাল চৌহানের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা গেলো শাকিবকে। হিন্দি গানটি প্রকাশ করা হয়েছে টি সিরিজ পপ-চার্টবাস্টার ইউটিউব চ্যানেলে, অপরদিকে বাংলা ভার্সনটি প্রকাশ করা হয়েছে টি সিরিজ বাংলা এবং টাইগার মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে।
দরদ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান, সোনাল চৌহান। আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টালিউডের পায়েল সরকার। তাছাড়াও রয়েছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, সাফা মারিয়া, রাহুল দেব, জেসিয়া ইসলামসহ অনেকেই।
দেখুন ট্রেলার ও গান
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org