দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ত্রিশুরের সাইবার বিভাগের এক আধিকারিককে ভিডিও কল করেছেন অন্য একজন ‘পুলিশ’ আধিকারিক। তার গায়ে পুলিশের উর্দি। পাশেই রয়েছে ভারতীয় পতাকা। তার পিছনে থাকা আলমারিতে বই।
এবার ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ করতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়লেন এক প্রতারক। ভুয়া পুলিশ সেজে ভিডিও কল করে বসলেন রীতিমতো সত্যিকারের পুলিশ আধিকারিককে! সম্প্রতি ত্রিশুর থানার জনৈক পুলিশ আধিকারিককে ফোনটি করেন ওই প্রতারক। ফোন করার সময় তিনি পুলিশের পোশাকেই ছিলেন। তবে আসল পুলিশকে দেখে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যান ওই যুবক। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন। আসল ও নকল পুলিশের কথোপকথনের ওই ভিডিও ইতিমধ্যেই ত্রিশুর থানার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল হতে পোস্ট করা হয়েছে। ভাইরালও হয়েছে সেই ভিডিওটি।
ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ত্রিশুরের সাইবার বিভাগের এক আধিকারিককে ভিডিও কল করেছেন অপর এক ‘পুলিশ’ আধিকারিক। গায়ে রয়েছে পুলিশের উর্দি। পাশে ভারতীয় পতাকাও। পিছনে থাকা আলমারিতে রয়েছে বই। তবে ফোন আসার পরই সাইবার বিভাগের আধিকারিক বুঝে যান, পুলিশের ছদ্মবেশে যিনি ফোন করেছেন, তিনি আসলে একজন প্রতারক। তার উদ্দেশ্য, পুলিশের নামে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। যখন ফোনটি আসে তখন তিনি নিজের দফতরেই ছিলেন ত্রিশুরের সাইবার বিভাগের ওই আধিকারিক। তার পরনেও ছিল আসল পুলিশের পোশাক। তবে ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের মুখ বা পোশাক প্রতারককে দেখাননি তিনি। বরং তিনি জানান, তাঁর ফোনের ক্যামেরায় কোনও সমস্যা। তা শুনে গলার সুর আরও চড়ান পুলিশরূপী ওই প্রতারক। সাইবার সেলের সেই আধিকারিককে নিজের মুখটি দেখাতে বলেন। তারপর নিজের মুখ ও পোশাক দেখান সাইবার সেলের পুলিশ আধিকারিক। আসল পুলিশকে দেখে চমকে যায় নকল পুলিশ! চোখ যেনো ছানাবড়া হয়ে যায় প্রতারকের। বুঝতে পারেন, সত্যিকারের পুলিশকেই ফোন করে ফেলেছেন তিনি। তারপর ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হয় ওই যুবকের। তিনি বোকার মতো হাসতে থাকেন। তারপর সাইবার সেলের ওই আধিকারিক তাকে বলেন, ‘‘আপনি কিন্তু ত্রিশুরের সাইবার বিভাগে ফোন করেছেন। এই কাজটি করা বন্ধ করুন। আমার কাছে আপনার ঠিকানা রয়েছে।’’ সেই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org