দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ছত্তীসগঢ়ের দুর্গের। সম্প্রতি এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১২ বছর পূর্বে তার বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
স্ত্রী মৃত্যুর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ভারতের ছত্তীসগঢ়ে ১২ বছর পর গ্রেফতার করা হয় ওই প্রৌঢ়কে।
১২ বছর পূর্বে খুন করা হয়েছিল তার স্ত্রীকে। মহিলাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এতোদিন পর সেই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। ১২ বছর ধরে তিনি কৌশলে পুলিশের চোখ এড়িয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়িয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বার বার বদলে ফেলেছেন নিজের নাম ও ঠিকানা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ছিল ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। তারা দু’জনেই মদ খেতেন। ১২ বছর পূর্বে একদিন তেমনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন এই দম্পতি। তাদের মধ্যে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। মদের ঘোরে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর আগুন ধরিয়ে দেন। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েও যান তিনি।
স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। সেই থেকেই মহিলার স্বামীকে খুঁজছিল পুলিশ। তবে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরিচয় গোপন করে, ঠিকানা বদল করে পুলিশের চোখে ধুলো দেন অভিযুক্ত। ছত্তীসগঢ়ের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন ওই ব্যক্তি। নানা ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন এতোদিন। কখনও নিজের কন্যার বাড়িতে গিয়ে থেকেছেন। কখনওবা আবার শ্রমিক হিসাবে অন্য কোথাও থেকেছেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে বেড়ানোতে তিনি ছিলেন দক্ষ।
সম্প্রতি দেশটির ছত্তীসগঢ় পুলিশ পুরনো কিছু অমীমাংসিত মামলার খাতা নতুন করে খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। তদন্তকারীরা গোপন সূত্রে খবর পান যে, ১২ বছর আগের সেই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজনন্দগাওঁ এলাকায় বসবাস করছেন। পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। জেরার মুখে ঘটনার কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত, দাবি
করেছে পুলিশ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org