দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ৪৫তম ব্যাংকক মোটর শো-তে প্রদর্শিত হলো স্মার্টটেকের ‘ফেলো টুজ’ বাইকটি। পরিবেশবান্ধব এই মোটরযান হিসেবে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ছে ইলেকট্রিক বাইকারদের মধ্যে।
একদিকে তেল ভরার ঝক্কি-ঝামেলা নেই, অপরদিকে একবার চার্জ দিয়ে পাড়ি দেওয়া যায় অনেকখানি পথ। মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই একের পর এক নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হচ্ছে এই ই-বাইক কোম্পানিগুলো। দ্রুত গতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এইসব ই-বাইকের কার্যক্ষমতা ও ডিজাইনে।
এবার ই-বাইকের সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে থাইল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান স্মার্টটেক। সম্প্রতি ৪৫তম ব্যাংকক মোটর শো-তে ‘ফেলো টুজ’ নামে নিজেদের নতুন উদ্ভাবিত এক ই-বাইক বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করে প্রতিষ্ঠানটি।
স্মার্টটেকের দাবি হলো, বাজারের বড় বড় ইলেকট্রিক গাড়িকেও হার মানাতে সক্ষম তাদের নতুন এই ক্রুজার বাইকটি। আর একবার চার্জ দিলেই ৭২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে বাইকটি দিয়ে। ফুল চার্জ হতে ‘ফেলো টুজ’ সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট!
স্মার্টটেক নতুন এই বাইকটির ডিজাইন অনেকটাই হোন্ডা গোল্ড উইংয়ের মতো রেখেছে। এই বাইকটির পেছনে রয়েছে বড় পেনিয়ার বক্স। সেইসঙ্গে পিলিওন রাইডারদের জন্য রয়েছে হেলান দেওয়ার ব্যবস্থা। এই বাইকটিতে রয়েছে বিশাল ফ্লোরবোর্ড। যে পেনিয়ার বক্স দেওয়া হয়েছে তাতে অ্যাডভেঞ্চারের সমস্ত সামগ্রীই বহন করা যাবে। এই বাইকের প্রতি ঘণ্টা সর্বোচ্চ গতি হলো ২০১ কিলোমিটার।
এই বাইকটির ব্যাটারি স্পেসিফিকেশন যদিও এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে ফেলো টুজে আরও এক দারুণ ফিচার সংযোজন করা হয়েছে, যার নাম হলো ভেহিকেল টু লোড। অর্থাৎ এক গাড়ির ব্যাটারি থেকে অন্য এক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা যাবে অনায়াসে। এইক্ষেত্রে অবশ্য দুই গাড়িতেই ভেহিকেল টু লোড কিংবা ভি২এল ফিচারটি থাকতে হবে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেলো টু’জে আরও কিছু চমকপ্রদ ফিচার রেখেছে। ১২ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লেও রয়েছে এতে। এতো বড় ডিসপ্লের দেখা পাওয়া যাবে না চার চাকার গাড়িতেও। ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি ও নেভিগেশন ফিচার দুই-ই পাওয়া যাবে এর ডিসপ্লেটিতে। পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা।
রাইডার এবং পিলিওনের সুরক্ষার জন্য অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমও রয়েছে দুই চাকার এই বাহনটিতে। বাইকটি যেহেতু ওজনে বেশ ভারি ও আয়তনে বড়, তাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এতে এবিএস ও ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচারও দেওয়া হয়েছে। তবে কেমন খরচ হবে, তা এখনও ঘোষণা করেনি স্মার্টটেক কোম্পানি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org