দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হতে চলেছে। গতকাল উদযাপিত হয়েছে মহালয়া। দিন-রাত রঙ-তুলির শেষ আঁঁচড়ে প্রতিমা রাঙিয়ে তুলছেন শিল্পীরা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হতে চলেছে। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন শুধু চলছে রং-তুলির কাজ।
বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব এই দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপূজা পালন করা হয় শারদীয় উৎসবের মাধ্যমে। সার্বজনিনভাবে এটি সমাদৃত বলে এই দুর্গাপূজা বাঙালিদের একটি কৃষ্টি-কালচারেও পরিণত হয়। শুধু যে হিন্দু তা নয়, মুসলমানদের মধ্যেই এই দুর্গাপূজার প্রভাব রয়েছে। সমগ্র বাঙালি হিন্দু-মুসলমান যেনো ভাতৃত্বের আবদ্ধে বিলীন হয়ে যান এ সময়। কোন হিংসা-বিদ্বেষ নেই ধর্মীয় বিধি পালনে। যা হাজার বছর ধরে চলে আসছে আমাদের দেশে।
এবার আরও বেশি সাড়া পড়েছে পূজা ও ঈদ প্রায় একই সময় পড়ার কারণে। ঈদ ও পূজার আনন্দ এই বাঙালি জাতি আন্তরিকভাবে উপভোগ করবেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সাজ-সজ্জার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে পূজার প্রস্তুতি। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পূজার মণ্ডপ। সরকারিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা ও ঈদ পালিত হবে।
দেশের মার্কেটগুলোতেই এই দুই ধর্মের দুটি উৎসবে- ক্রেতা সাধারণের ভীড়ে মুখর। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ প্রতিটি যানবাহনে বেড়েছে যাত্রীদের আনা-গোনা। ঘরে ফেরা আর আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে অনুভূতি শেয়ার করে নেয়া এক মহা আনন্দের। সেই আনন্দ সকলের জীবনে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক এ কামনা আমাদের। পূজা ও ঈদ হিন্দু-মুসলমানদের এই ধর্মীয় আচার-আচরণ সৌহার্দ্যের মাধ্যমে পালিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।