দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরার অভিযোগে ১৫টি থাইল্যান্ডের মাছ ধরার ট্রলারের গুলি করে দেশটির নৌবাহিনী। গুলিতে জেলে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে থাইল্যান্ডের এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডুবে মারা যান, এই সময় আরও ৩১ জনকে আটক করেছে মিয়ানমার। -খবর রয়টার্স ও ব্যাংকক টাইমসের।
শনিবার মিয়ানমারের জলসীমার ৭ দশমিক ৪ থেকে ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার ভিতরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান।
মুখপাত্র থানাটিপ সাওয়াংসাং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরার সময় ১৫টি থাই মাছ ধরার ট্রলারের মধ্যে ২টিতে গুলি করা হয়। ঘটনার সময় ৩ জন জেলে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদের মধ্যে একজন ডুবে মারা গেছেন আর থাই নৌবাহিনী বাকি ২ জনকে উদ্ধার করে।
ওইসব নৌকাগুলোর একটিতে ৩১ জন জেলে ছিলেন। তাদের সবাইকেই আটক করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। থাই নৌবাহিনী তাদের মুক্তির জন্য আলোচনা করছে বলে সাওয়াংসাং জানান।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকনডেস বালানকুরা জানিয়েছেন, তাদের মন্ত্রণালয়ও জেলেদের মুক্তির জন্য মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে ও এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইনের কোনো লঙ্ঘন ঘটেছে কি-না, সেটি পর্যালোচনা করে দেখছে।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রানোং প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের জলসীমা বিদ্যমান। এই প্রদেশটির মৎস বিভাগ থাই মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে ওই জলসীমার কাছ দিয়ে চলাচলের সময় সতর্ক থাকতে বলেছিলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org