দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নানা উৎসবে মেতে থাকে শীতের সময়। উৎসবের মৌসুমে চাঙ্গা থাকা জরুরি। তবে এরজন্য সর্দি-কাশি, গলাব্যথা থেকে দূরে থাকতে হবে। এতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে সুস্থ থাকার দাওয়াই।
যাদের সারা বছরের দোসর সর্দি-কাশি, শীতকালের জন্য তাদের মোটেও অপেক্ষা করতে হয় না। তবে ঠাণ্ডা পড়লেই সর্দি ও কাশি যেনো ঘাড়ে চেপে বসে। কিছুতেই রেহাই পাওয়া যায় না। ঘন ঘন ওষুধ খেয়ে তবেই সাময়িক সুস্থ থাকা যাবে। তবে আবার সর্দি-কাশি হানা দেয়। শীতজুড়ে উৎসবের যেনো শেষ নেই। উৎসবের মৌসুমে চাঙ্গা থাকাটা জরুরি। তবে এরজন্য সর্দি-কাশি, গলাব্যথা থেকেও দূরে থাকতে হবে। হাত বাড়ালে পাওয়া যাবে সুস্থ থাকার দাওয়াই।
লাল মরিচের গুঁড়ো
ঝাল পছন্দ না হলেও শীতে রান্নায় একটু মরিচের গুঁড়া দিলে খেতে কিন্তু মন্দ লাগে না। খাবার দেখতেও বেশ লোভনীয় মনে হয়। মরিচের গুঁড়ার স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। মরিচের গুঁড়ায় রয়েছে ভিটামিন সি। যে কোনও অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই মশলাটি।
তেজপাতা
কষা মাংস বা মাছের পাতলা ঝোল- ফোড়নে তেজপাতা না দিলে স্বাদ কিন্তু বাড়ে না রান্নায়। তেজপাতা শরীরের যত্ন নিতে সমান পারদর্শী। তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি। তেজপাতার গুণে যে কোনও রোগের সঙ্গেই লড়াই করার শক্তি পায় শরীর। ভিটামিন সি ছাড়াও এই পাতায় আরও রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। সুস্থ থাকার সঞ্জীবনীও হতে পারে এই তেজপাতা।
গোল মরিচ
গোলমরিচ হলো সর্দি-কাশির অন্যতম ঘরোয়া দাওয়াই। ঠাণ্ডা লাগলেই গোলমরিচ দিয়ে ফুটিয়ে সেই পানি খেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যাবে। এটি সর্দি-কাশির সঙ্গেও লড়াই করতে পারে। কারণ হলো, এই গোলমরিচে রয়েছে ভিটামিন সি। গোলমরিচের মাধ্যমে এই ভিটামিন শরীরে প্রবেশ করে। ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org