দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইউসিবিআইএল), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র একটি সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ২০২৪ সালের ফিন্যান্সএশিয়া অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসে ছয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক অর্জন করেছে।
এই স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে এশিয়া-প্যাসিফিক (জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম) অঞ্চলে দুটি “বেস্ট হাউস অ্যাওয়ার্ড” পুরস্কার এবং দক্ষিণ এশিয়া (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ) অঞ্চলে চারটি “বেস্ট ডিল অ্যাওয়ার্ড,”। এই ঐতিহাসিক অর্জন ইউসিবি ইনভেস্টমেন্টের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতিফলন যা প্রতিষ্ঠানটিকে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক হিসেবে অভিযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট দুটি “বেস্ট হাউস অ্যাওয়ার্ড” পুরস্কার জিতেছে বেস্ট ইসলামিক ফাইন্যান্স হাউস (বিজয়ী) এবং বেস্ট প্রজেক্ট ফাইন্যান্স হাউস (বিজয়ী) বিভাগে। এছাড়াও, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ডিলগুলির মধ্যে তিনটি “বেস্ট ডিল অ্যাওয়ার্ড” জিতেছে, যার মধ্যে রয়েছে বেস্ট আইপিও (উইনার), বেস্ট ইসলামিক ফাইন্যান্স ডিল (উইনার), বেস্ট প্রাইভেট ইকুইটি ডিল (উইনার) এবং বেস্ট সিন্ডিকেটেড লোন ডিল ক্যাটাগরিতে “হাইলি কমেন্ডেড”। প্রতিষ্ঠানটি এই অর্জনগুলো ইউসিবিআইএলের অসাধারণ দক্ষতা এবং সেবার মানের নিখুঁত প্রমাণ, যা প্রতিষ্ঠানটিকে শুধু স্বদেশেই নয়, বৈশ্বিক আর্থিক ক্ষেত্রেও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই সাম্প্রতিক সাফল্য ইউসিবিআইএলের অসাধারণ পুরস্কার প্রাপ্তির ধারাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ২০২২ সালে, ইউসিবিআইএল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে মার্চেন্ট ব্যাংক বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিল। এরপর ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে, উল্লেখ্য ইউরোমনি এবং ফিন্যান্সএশিয়া উভয়েই ইউসিবিআইএলকে “সেরা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক” হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়া, ২০২৪ সালে ইউরোমনি ইউসিবিআইএলকে বাংলাদেশের “সেরা সিকিউরিটিজ হাউস” হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া এশিয়ামনি, অ্যাসেট ট্রিপল এ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য পুরস্কার ইউসিবিআইএলের ক্রমবর্ধমান সুনাম আরও সুসংহত করেছে।
জনাব তানজিম আলমগীর, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, এই বিশাল সাফল্যের জন্য তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আইপিও থেকে প্রকল্প অর্থায়ন পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের সর্বাঙ্গীন ৩৬০-ডিগ্রি সেবার শক্তিকে তুলে ধরে, যা আমাদের দীর্ঘ পথযাত্রার নির্দেশক। আমাদের এই সাফল্য আমাদের গ্রাহকদের অর্পিত বিশ্বাস এবং অংশীজনদের ধারাবাহিক সমর্থনের প্রতিফলন।”
জনাব মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, তার প্রশংসা প্রকাশ করে বলেন, “ছয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন একটি বিশাল সাফল্য, যা আমাদের টিমের অটুট নিষ্ঠা এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিফলন। এটি আমাদের মানসম্মত সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতি, উদ্ভাবনে নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের আর্থিক বাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকারকে প্রকাশ করে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org