দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ -এ চীফ ডিজিটাল অফিসার (সিডিও)/ডিজিটাল ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন সারজিল সারওয়ার।
সারজিল সারওয়ার বিএটি বাংলাদেশের এরিয়া হেড অব ইনফরমেশন অ্যান্ড ডিজিটাল টেকনোলজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠানটি গত ১২ ডিসেম্বর লো মেরিডিয়ান ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের ব্যবসাখাতের শীর্ষ নির্বাহীদের সম্মাননা প্রদানে ও তাদের সাফল্য উদযাপনে বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হয়। যারা কর্মনিষ্ঠার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন, পেশাদারিত্বে উৎকর্ষের পাশাপাশি সবার আস্থা অর্জন করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন, এমন সি-সুইট নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সম্মানজনক এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, স্বনামধন্য বিজনেস লিডার ও অডিট বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত এক অ্যাডভাইজরি বোর্ড নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারা সম্মাননা পাবেন তা নির্বাচন করেন।
সারজিল সারওয়ার তার কর্মজীবনের প্রতিটি ধাপে তার সহকর্মী এবং অন্যান্য পেশাদারদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন এবং তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি স্ট্যানফোর্ড সিড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ অ্যাঞ্জেলস এবং আর-ভেঞ্চারের মত অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টার্টআপ এবং ডিজিটাল ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের চিফ ইনফরমেশন অফিসারদের (সিআইও) নিয়ে গঠিত কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। এই নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম সিআইও এবং আইটি ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে জ্ঞানের আদান-প্রদানে ও সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে।
সারজিল সারওয়ার বিএটি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সাফল্যে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সুশাসন চর্চায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন। বিএটি’র বৈশ্বিক এআই লিড এবং ডিআইএফসি ইনোভেশন হাবের সদস্য হিসেবে তিনি কৃষি-প্রযুক্তি, পণ্যের জালিয়াতি প্রতিরোধ ও বাণিজ্যে এআই -এর উদ্ভাবনী প্রয়োগে নেতৃত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। উদ্ভাবনী বিভিন্ন সমাধানের মাধ্যমে তিনি করপোরেট সুশাসনকে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এইসব উদ্ভাবনী সমাধানের মধ্যে রয়েছে: এজিএম পোর্টাল, ডিজিটাল বোর্ড ম্যানেজমেন্ট ও গভর্নেন্স সল্যুশনস। এই প্ল্যাটফর্মগুলো শেয়ারহোল্ডার এবং বোর্ড সদস্যদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়াও, তিনি প্রযুক্তিগত সমাধান ব্যবহার করে বৈশ্বিক মহামারি এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছেন, যা কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ব্যবসার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভূমিকা রেখেছে।
সম্মানজনক এ অর্জন নিয়ে সারজিল সারওয়ার বলেন, “বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডে সিডিও/ডিজিটাল ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এই স্বীকৃতি বিএটি বাংলাদেশ এবং এর বাইরেও আমাদের দলগত উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনকে প্রতিফলিত করে। প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সমাধান আমাদের ব্যবসা পরিচালনার ধরনকে রূপান্তরের পাশাপাশি টেকসই প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আমি এই অর্জন আমার মেন্টর, সকল সহকর্মী ও দেশের টেক কমিউনিটিসহ যারা আমাকে এগিয়ে যেতে ও উদাহরণ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করেছেন, তাদের উৎসর্গ করতে চাই।”
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org