দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএটি বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো ‘টপ এমপ্লয়ার ইনস্টিটিউট’ হতে শীর্ষ নিয়োগদাতার স্বীকৃতি অর্জন করলো।
কর্মীদের টেকসই উন্নয়ন, প্রতিভা বিকাশ, সার্বিক কল্যাণ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় ২০২৪ সালে গ্লোবাল ও এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন, দুই শ্রেণিতেই এই স্বীকৃতি অর্জন করলো প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘টপ এমপ্লয়ার ইনস্টিটিউট’ ১২১টি অঞ্চলের ২৩০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করেছে। এই বছরের ২৮ জানুয়ারি আমস্টারডামে প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর হতে বিএটি বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট বিএটি বাংলাদেশকে এই স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মূল্যায়ন করেছে তার মধ্যে রয়েছে- প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার এবং প্রবৃদ্ধির সুযোগ, শক্তিশালী ব্যবসা ব্যবস্থাপনা এবং কর্মী-সংশ্লিষ্ট কৌশল, নির্বিঘ্ন কর্মপদ্ধতি, নিয়োগদাতার ব্র্যান্ডিং এবং কর্মীদের সার্বিক কল্যাণ ও সুবিধা।
বিষয়টি নিয়ে বিএটি বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জনাব সাদ জসিম বলেন, “আমরা নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যথাযত পদ্ধতি অনুসরণ করি ও তাদের সক্ষমতার সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে কর্মক্ষমতার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছি- এই স্বীকৃতি তারই প্রতিফলন। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, সার্বিক কল্যাণ এবং আমাদের কর্মীরা যেনো উৎকর্ষ অর্জন করতে পারেন আমরা সবসময় এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছি। আমরা গত বছর আমাদের কর্মীদের নেতৃত্বে পরিচালিত নানাবিধ উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে পরিপূর্ণ সমর্থন করেছি, যা আমাদেরকে ৫ম বারের জন্য শীর্ষ নিয়োগকর্তার স্বীকৃতি অর্জনে সমর্থ হয়েছে।”
বিএটি বাংলাদেশ তাদের কর্মীদের সক্ষমতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশে সর্বদা অগ্রাধিকার দেয়। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ-সংশ্লিষ্ট কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে আধুনিক এবং নিরবচ্ছিন্ন কাজের ধরন ও সাবলীল নিয়োগ প্রক্রিয়া অন্যতম। কর্মীদের সর্বদা নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করতে অনলাইন লার্নিং রিসোর্স ব্যবহার সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগও করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়াও, বিএটি বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় আগামী বিনির্মাণে যাবতীয় কর্মসূচিতে
পরিবেশগত, সামাজিক এবং সুশাসনকে অগ্রাধিকার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org