দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পারস্পরিক সহমর্মিতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকার সব জোনে কর্মরত রাইডার পার্টনারদের জন্য ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ। ৪ এপ্রিলের এই ইফতার আয়োজনে ৩০০ জনের বেশি রাইডার অংশ নিয়েছেন।
ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘প্যান্ডা রাইডার গ্র্যান্ড ইফতার ২০২৪’ নামে রাইডার পার্টনারদের জন্য বড় পরিসরে এ আয়োজন করা হয়। রমজান মাসে ইফতারের জন্য গ্রাহকের পছন্দের খাবার সময়মতো পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রাইডার পার্টনাররা। তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই বিশেষ এই আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। রাইডার পার্টনারদের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি এবং তাদের কাজের স্বীকৃতির জন্য বিভিন্ন সময় নানা ধরণের উদ্যোগও নেয় ফুডপ্যান্ডা।
ইফতারের পর রাইডার পার্টনারদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন গেমসের আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়। ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের অপারেশনস ডিরেক্টর আন্দালিব হাসান বলেন, ‘‘আমাদের রাইডার পার্টনারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও তাদের দায়িত্বশীলতার প্রতি আমরা গভীরভাবে সম্মান জানাই। বিশেষ করে রমজান মাসে রাইডাররা আরও কঠোর পরিশ্রম করেন। তাদের কাজের প্রতি স্বীকৃতি জানাতে ‘প্যান্ডা রাইডার গ্র্যান্ড ইফতার ২০২৪’ আয়োজন করে ফুডপ্যান্ডা। রাইডারদের একত্রিত করা ও তাদের আনন্দ উদযাপনের সুযোগ তৈরির জন্য আমরা আনন্দিত।’’
জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, বিমা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে রাইডারদের কল্যাণের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে ফুডপ্যান্ডা। এছাড়াও সম্প্রতি রমজান মাসের প্রতি শুক্রবার রাইডারকে দেওয়া গ্রাহকের ‘টিপ’ এর সমপরিমাণ অর্থ যোগ করে দ্বিগুণ ‘টিপ’ রাইডারকে বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নেয় অনলাইন ফুড এবং গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org