দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্টোর থেকেই গ্রাহকদের জন্য সরাসরি গ্রোসারি পিকআপ করার সুবিধা চালু করলো শীর্ষস্থানীয় ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা। সোমবার (১৭ জুলাই) থেকে এই সুবিধা চালু হয়েছে।
এখন শুধুমাত্র গুলশান-২ এ অবস্থিত ফুডপ্যান্ডার নিজস্ব গ্রোসারি ডার্কস্টোর প্যান্ডামার্ট হতে গ্রাহকরা গ্রোসারি পিকআপ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ সুবিধা ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না।
ইতিপূর্বে রেস্তোরাঁ থেকেও সরাসরি খাবার নেওয়ার জন্য পিকআপ সুবিধা চালু করেছিল ফুডপ্যান্ডা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রাহকদের সুবিধার্থে প্যান্ডামার্ট ডার্কস্টোর থেকে গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যও পিকআপ সুবিধা আনলো প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে গ্রাহকরা ফুডপ্যান্ডার মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইনে পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
শহরের ব্যস্ত গ্রাহকদের জন্য পিকআপ সুবিধাটি আকর্ষণীয় হতে পারে। এই সুবিধার কারণে গ্রাহকরা প্যান্ডামার্ট ডার্কস্টোর থেকে তার অর্ডার করা গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পিকআপ করতে পারবেন। সহজেই গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পিকআপ করতে পারায় গ্রাহকদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের ডিমার্টের ডিরেক্টর মোহাম্মদ তাবরেজ খান বলেন, “গ্রাহকদের সুবিধাজনক উপায়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে তাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে আমরা নিবেদিতভাবে কাজ করছি। এখন পিকআপ সুবিধাটি গ্রাহকের জন্য সশরীরে গিয়ে পণ্য কেনার পরিপূরক উপায়ও হতে পারে। যে কারণে গ্রাহকদের অর্ডার নেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না- তেমনি পিকআপের জন্য তারা বিশেষ ধরনের ছাড়ও উপভোগ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে গ্রাহকদের জীবনযাপন ও পছন্দের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটার জন্য পিকআপ একটি বিকল্প উপায়ও হতে পারে। বাংলাদেশের গ্রাহকদের গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারায় আমরা উচ্ছ্বসিত।”
ফুডপ্যান্ডার গ্রোসারি পিকআপ সুবিধাটি এখন হংকং, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে চালু রয়েছে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই পাকিস্তানেও সুবিধাটি চালু হবে।
ফুডপ্যান্ডা সম্পর্কে :
ফুডপ্যান্ডা এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। সুবিধামতো এবং দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে খাবার, গ্রোসারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। অভিনব প্রযুক্তি এবং সুদক্ষ পরিচালনার সমন্বয় ও রিটেইল পার্টনারদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই অঞ্চলের কুইক-কমার্সে (কিউ- কমার্স) নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। খাবার ডেলিভারি দেওয়ার লক্ষাধিক অপশন ছাড়াও অন-ডিমান্ড পণ্য ডেলিভারি সুবিধা প্রদানে রয়েছে প্যান্ডামার্ট ক্লাউড স্টোর।
বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, লাওস, কম্বোডিয়া ও মায়ানমার- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১১টি বাজারের চারশো শহরে ফুডপ্যান্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.foodpanda.com খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org