দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আপনি কি জানেন প্রাণীজগতের সব চেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী কারা? প্রাণীজগতে বিভিন্ন প্রাণীর মাঝে রয়েছে বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে নানান স্থর। আমরা আজ আপনাদের জানাবো ২৫ টি বুদ্ধিমান প্রাণীর কথা।
১) কুইড’স।।
অমেরূদণ্ডী প্রাণীদের মাঝে স্কুইড’স হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী, এরা সাগরের গভীরে বাস করে, সেখানেই চরে বেড়ায় খাবার সংগ্রহ করে। এদের মস্তিষ্কের গঠন অন্যান্য অমেরূদণ্ডী প্রাণীদের থেকে আলাদা। নিজেদের প্রয়োজনে স্কুইড’স তাদের খাবার সংগ্রহের কৌশল পরিবর্তন করতে পারে, এবং গভীর জলে প্রাকৃতিক নানান পরিবর্তনের সাথে এরা খাপ খাইয়ে যেতে পারে। তাই এদের অবস্থান ২৫ তম স্থানে।
২) মাকড়সা।।
মাকড়শা’কে ২৪ তম অবস্থান দেয়া হয়েছে কারন, এরা ক্ষুদ্র তম প্রাণীদের মাঝে নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে হাজার বছর ধরে নিজেদের বিবর্তন অব্যাহত রেখে পৃথিবীতে টিকে আছে। এরা নিজেদের খাবার সংগ্রহে বিশেষ বিশেষ কৌশল ব্যাবহার করে।
৩) পিঁপড়া।।
প্রাণীজগতে ক্ষুদ্র প্রাণী পিঁপড়া নিজেদের সামগ্রিক অর্থাৎ ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে টিকিয়ে রেখেছে কোটি কোটি বছর ধরে, এরা নিজেদের এন্টিনা ব্যাবহার করে অগ্রিম সংকেত সংগ্রহ করার পদ্ধতি আবিস্কার করেছে। এবং দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ পন্থা কাজে লাগিয়ে বিশাল কাজ এক সাথে সহজে করার দক্ষতা দেখায়। পিঁপড়া রয়েছে ২৩ তম অবস্থানে।
৪) বেবুন।।
বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে বেবুনের অবস্থান ২২ তম স্থানে। বেবুন নিজেদের মাঝে একটি সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষমতা রাখে একই সাথে বেবুন অনেকটা শিল্পাঞ্জি এবং ওরাং ওটা এর কাছা কাছি অবস্থানে রয়েছে। এরা কোন কিছু একবার দেখে অনুকরণ করার চেষ্টা করে।
৫) সি লায়ন।।
গবেষণায় দেখা গেছে সি লায়ন বা সামুদ্রিক সিল লজিক নিয়ে ভাবতে পারে। এরা বুঝতে পারে এ = বি , বি=সি এবং এ=সি এর সম্পর্ক! ফলে এদের অবস্থান ২১’এ।
৬) ওরাং ওটান।।
শিল্পাঞ্জির মতোই ওরাং ওটার কিছু বুদ্ধি দীপ্ত ক্ষমতা আছে যেমন, এরা কাঠ দিয়ে ফলে আঘাত করে খাবার সংগ্রহ করার কৌশল জানে। একই সাথে তারা জানে প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের কিভাবে খাপ খাওয়াতে হবে। এরা অনুকরণ করতেও অনেক পটু। ফলে এসব বুদ্ধি দীপ্ত আচরণের জন্য ওরাং ওটান পাচ্ছে ২০ তম অবস্থান।
৭) কবুতর।।
আমরা সবাই জানি কবুতর এক সময় রাজা বাদশা’রা যুদ্ধ ক্ষেত্রে এবং নিজেদের মাঝে গোপন চিঠি আদান প্রদান করতে ব্যাবহার করতেন। ফলে কবুতরের বোঝার ক্ষমতা রয়েছে কোন বস্তু কথাও রেখে আসার বিষয়ে। এছারা কবুতর মালিক এবং নিজের বাসা অনেক দূর থেকেও চিনে ফিরে আসতে পারে। কবুতরের এই ক্ষমতার কারনে এদের অবস্থান ১৯ তম।
৮) কাক।।
কাক আমরা সবাই চিনি, এটি আমাদের সবার পরিচিত একটি পাখি। কবুতরের পরে কাঁক পাখি সমাজে দ্বিতীয় বুদ্ধিমান প্রাণী। এরা জানে হিসেব করতে যেমন কোন খাবার নানান প্রতিকূলতা পেড়িয়ে সহজ পথে সংগ্রহ করা যাবে। ফলে এদের অবস্থান ১৮ তে।
৯) ভেড়া।।
অনেক প্রাণীর মাঝে ভেড়াকে মনে করা হয় এদের মস্তিষ্ক অত্যন্ত শক্তিশালী, এরা অনেক কিছুই মনে রাখতে পারে কোন কোন ক্ষেত্রে এরা মানুষের চেয়েও বেশি সৃতি ধারন করতে পারে। তাই এদের অবস্থান ১৭তে।
১০) র্যাকুন।।
জদিও র্যাকুন আমাদের দেশে সেভাবে পরিচিত না। এরা অমেরিকার ভল্লুকজাতীয় প্রাণিবিশেষ। গবেষণায় দেখা গেছে র্যাকুন নিজেদের মাঝে বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে একই সাথে এরা সমস্যায় পরলে বুদ্ধি করে তার থেকে বাঁচতে নানান কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। এরা ১৬ তম অবস্থানে রয়েছে।
১১) ঘোড়া।।
ঘোড়া যুগ যুগ ধরে মানব সভ্যতার প্রারম্ভ থেকে মানুষের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। ঘোড়া মানুষের নির্দেশ খুব দ্রুত বুঝতে পারে এমনকি দ্রুত গতিতে ছুটার সময়ও তারা মানুষের দেয়া যেকোনো নির্দেশ পালন করতে ভুল করেনা। ফলে ঘোরার অবস্থান ১৫ তে।
১২) রীস্যাস বানর।।
এরা আমাদের অতি পরিচিত বানর ভারত বাংলাদেশে এদের প্রচুর দেখা যায়। এরা অত্যন্ত সামাজিক এবং প্ল্যান করে অন্যদের আক্রমণ করতে এরা খুবি পটু। এদের অবস্থান ১৪তে।
১৩) বাজপাখি।।
বাজপাখি আমরা সবাই চিনি দূর আকাশে কিংবা বিশাল গাছের ডালে এদের অনেক সময় দেখা যায়। এরা আকাশ থেকে সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করে টার্গেট নির্দিষ্ট করতে পারে। ফলে এদের অবস্থান ১৩ তে।
১৪) ইঁদুর।।
ইঁদুর বাংলাদেশের অলিতে গলিতে পাওয়া যায়। এরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান মেরুদণ্ডী প্রাণী। এদের দীর্ঘ স্মরণ শক্তি রয়েছে এবং এরা অপ্রতিকুল পরিবেশেও নিজেদের বংশ বিস্তার ঘটাতে পারে। ইঁদুরের অবস্থান ১২ তে।
১৫) পেঁচা।।
প্রাগ ঐতিহাসিক যুগ থেকেই পেঁচাকে ধরা হত বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে। এদের গ্রান শক্তি ব্যাবহার করে এরা মাটির ১ ফুট নিচে অবস্থান করা ইঁদুর কিংবা শিকার ধরে নিতে পারে। এদের নিশানা নির্ভুল। ফলে এদের অবস্থান ১১ তে।
১৬) বিড়াল।।
বিড়াল মানুষের সাথে বসবাস করছে হাজার বছর ধরে। এরা মানুষের নানান উপকারেও লাগে। শিকারের জন্য বিড়ালের রয়েছে বিশেষ দক্ষতা। এরা শিকারের জন্য নতুন নতুন কৌশল আয়ত্ত করতে পারে। ফলে এরা আছে ১০ তম স্থানে।
১৭) কাঠবিড়াল।।
এরা দ্রুত চিন্তা করতে পারে এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে খাবার সংগ্রহ করতে জানে একই সাথে ওই সব খাবার কথায় রেখেছে দীর্ঘদিন পরও তা তাদের স্মরণে রাখতে পারে। ফলে কাঠবিড়াল রয়েছে বুদ্ধি তালিকায় ৯ তম স্থানে।
১৮) হাতি।।
অন্যান্য সকল প্রাণী থেকে হাতির রয়েছে বিশাল আকারের মস্তিষ্ক, হাতির মস্তিষ্ক বড় তার অর্থ তার বুদ্ধি বেশি তা মটেই নয় তবে হাতি সত্যি সত্যি অন্যান্য প্রাণী থেকে অনেক বেশি বুদ্ধি ধারন করেন। হাতিরা নিজেদের মাঝে বিশেষ যোগাযোগ রক্ষা করে একই সাথে তারা রাস্তা এবং শত্রু দুইটাই অনেক বছর ধরে মনে রাখতে পারে ফলে তাদের অবস্থান ৮।
১৯) অক্টোপাস।।
প্রাণীদের মধ্যে অক্টোপাস সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট। তারা ক্ষণস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী দু ধরনের স্মৃতি ধারণ করে রাখতে পারে। তারা কাঁকড়ার খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে উদরপূর্তি করতে পারে। এরা সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।
২০) কুকুর।।
কুকুর এমন একটি প্রাণী প্রাগ ঐতিহাসিক যুগ থেকে কুকুর মানুষের বন্ধু হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে। এরা মানুষের সাথে শিকারে যায় এবং মানুশকে নানান কাজে সাহায্য করে। এদের সৃতি শক্তি অত্যন্ত মজবুত। কুকুরের অবস্থান ৬ তম স্থানে।
২১) নীল তিমি।।
নীল তিমি জলে বাস করলেও মাচ নয় এরা বাচ্চা প্রসব করে এবং তাদের স্থন পান করায়! এরা একে অপরের সাথে সুন্দর যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে এবং একের বিপদে অন্য এগিয়ে আসে ফলে এদের অবস্থান পাঁচে।
২২) টিয়া পাখি।।
টিয়া পাখি অনেক বুদ্ধিমান একটি পাখি এরা মানুশের গলার স্বর নকল করতে পারে। এছারা এদের রয়েছে অসাধারণ সৃতি মনে রাখার ক্ষমতা। বুদ্ধির স্কেলে এরা চার তম স্থানে।
২৩) ডলফিন।।
ডলফিনের রয়েছে বিশেষ যোগাযোগ দক্ষতা। এরা দেখিয়ে দেয়া খেলা অনুকরণ করতে পারে ফলে এদের দিয়ে অনেক সময় সার্কাস দেখানো হয়। বুদ্ধির স্কেলে ডলফিনের অবস্থান তিনে।
২৪) শূকর।।
শূকর শব্দ এবং শব্দগুচ্ছ মনে রাখতে পারে। এমন কি এক বছর আগে শোনা শব্দও মনের রাখতে পারে অনায়াসে। শূকরছানাকে যখন তার মা শিক্ষা দেয় তখন তারা একজনের ভুল দেখে আরেকজন শিক্ষা নেয়।
আশ্চর্যের বিষয়, তিন বছরের শিশুর জন্য যে ভিডিও গেইম জটিল সে গেইম শূকরছানারা খেলতে পারে। ফলে শূকর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
২৫) শিম্পাঞ্জি।।
শিম্পাঞ্জি নিজেদের জন্য খাবার তৈরি করতে মানুশের মতোই যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করতে পারে। তারা লাঠি দিয়ে গর্ত খুঁড়ে সুস্বাদু উইপোকা খোঁজে বের করতে পারে। পারে মাছ শিকার করতে। এছাড়া অন্যান্য শিকারেও তারা বেশ পারদর্শী।শিম্পাঞ্জিরা একটি উচ্চমানের সমাজে বাস করে। তারা সুন্দর সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারে। ফলে শিম্পাঞ্জি প্রাণীজগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
ধন্যবাদান্তেঃ list25