দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মিথ জানান তিনি নতুন ভাষা এবং সংস্কৃতি খুঁজতে পছন্দ করেন। বাঙালি সংস্কৃতি, খাবার, পোশাক নিয়ে আগ্রহও ছিল তার।
নিউ ইয়র্কবাসীর মুখে এমন নির্ভুল বাংলা! আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ঝরঝরে এবং স্পষ্ট বাংলা বলতে শোনা গেলো এক আমেরিকার নাগরিককে। বাংলা ভাষায় খাবারের সন্ধানও করছেন তিনি। বিন্দুমাত্র জড়তা ছাড়াই সাবলীলভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে শোনা গেলো এক তরুণকে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ওই যুবকের নাম হলো অ্যারে স্মিথ। মূলত তিনি পেশায় একজন ভ্লগার। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের কুইনস এলাকায় গিয়ে স্মিথ তার চ্যানেলের জন্য একটি ভিডিও করেন। জ্যাকসন হাইটস এলাকাটি আমেরিকায় ‘মিনি বাংলাদেশ’ নামে বহুল প্রচারিত। বাংলা খাবারদাবার, পোশাক, বই সংস্কৃতি, সব কিছুই পাওয়া যায় এই এলাকায়। মূলত বাংলাদেশি বাঙালিদের বসবাস এখানে। এখানকার রেস্তোরাঁর মালিক এবং ক্রেতারা প্রায় সবাই বাঙালি। সেখানকার খাবারের দোকানে বাংলা খাবার খেতে যান স্মিথ।
স্মিথের মুখে বাংলা শুনে আপ্লুত হন সেখানকার বিক্রেতা থেকে শুরু করে উপস্থিত জনতা। স্মিথ তাদের সঙ্গে তাদের মাতৃভাষায় যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার সাবলীল বাংলা সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। স্মিথ জানান যে, তিনি নতুন ভাষা এবং সংস্কৃতি খুঁজতে পছন্দ করেন। বাঙালি সংস্কৃতি, খাবার, পোশাক নিয়েই আগ্রহ ছিল তার। প্রথমেই স্থানীয় দোকান থেকে তাকে টুপি কিনতেও দেখা যায়। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায় যে, ‘‘আজ বড্ড ঠাণ্ডা পড়েছে।’’ তারপর সটান ঢুকে পড়েন একটি বাঙালি রেস্তোরাঁয়। সেখানে বাংলায় একটি মিষ্টি পানের অর্ডারও দেন, যা শুনেই চমকে ওঠেন খোদ দোকানি নিজে। দোকানি স্মিথের কাছে জানতে চান যে ‘‘আপনি কিভাবে বাংলা জানলেন?’’ তার উত্তরে স্মিথের সপ্রতিভ উত্তর- তিনি ধীরে ধীরে বাংলা শিখছেন। বাংলা শব্দের নির্ভুল উচ্চারণে মুগ্ধ সকলেই। ইউটিউবে স্মিথের সেই ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিও দেখে একজন মন্তব্য করেছেন নিউ ইয়র্কবাসীকে বাংলা বলতে দেখে খুব আনন্দ এবং উল্লসিত হতে ইচ্ছা হয়। এক ব্যক্তি ব্লগারের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘বাংলা শেখার পর কতো সুন্দরভাবে কথা বলেন এই ব্যক্তি। বাংলা একটি সুন্দর ভাষা তবে একে আয়ত্ত করা বেশ কঠিন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org