দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে আগুন জ্বালানো নিষেধ থাকে সেটি আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু এমন এক বিপদজনক কাণ্ড ঘটেছে। পেট্রোল পাম্পে কাঠ জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন তরুণরা!
দৃশ্যটি ছিলো এমন- পেট্রোল পাম্প চত্বরে আগুন পোহাচ্ছেন এক দল তরুণ। আগুনের চার দিকে রীতিমতো গোল হয়ে বসেছেন তারা! শীতের ঠাণ্ডায় চার দিকে একেবারে শান্ত হয়ে রয়েছে।
শীতের রাতে চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার- একেবারে শুনশান অবস্থা। রাস্তার ধারের পেট্রোল পাম্পে তখন কোনও গাড়িও তেল ভরাতে আসছে না। চারদিকে মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে। শীতের মধ্যে আগুন পোহাবেন বলে পেট্রোল পাম্প চত্বরেই আগুন জ্বালিয়ে বসলেন এক দল তরুণ! নেটমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে।
‘অঙ্কিত’ নামে অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পেট্রোল পাম্প চত্বরে আগুন পোহাচ্ছেন একদল তরুণ। আগুনের চারদিকে গোল হয়ে বসেছেন তারা। শীতের ঠাণ্ডায় চারদিক শান্ত হয়ে রয়েছে। আগুন পোহাতে পোহাতেই আড্ডাও মারছেন তারা!
তবে এই ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। জানা যায়নি তরুণদের নাম-পরিচয়। তবে ঘটনাটি গত বছরের ডিসেম্বরেই ঘটেছে। ভিডিওটি দেখে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একজন বলেছেন, ‘‘বিপজ্জনক জেনেও এভাবে কেও পেট্রোল পাম্পের ভিতর আগুন জ্বালায়?’’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org