দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের লেজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড ও গ্লোবাল টেকনোলজি জায়ান্ট, শাওমির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশে শাওমির পথচলায় যেনো এক নতুন যুগের সূচনা হলো। ক্রিকেটার হিসাবে তামিম ইকবালের রয়েছে বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও লাখো ভক্ত, অপরদিকে শাওমি দেশের মানুষের কাছে সব থেকে জনপ্রিয় ও নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্রান্ড। যে কারণে তামিম ইকবালের সঙ্গে শাওমির এই পথচলা দেশের লাখো ভক্তের সঙ্গে শাওমির সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ধৈর্য ও দৃঢ়তার প্রতীক। মাঠে তার খেলা, আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ও নেতৃত্ব সবাইকে অনুপ্রাণিতও করে। তামিম যেমন তার পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন- ঠিক তেমনি শাওমি ইনোভেটিভ টেকনোলজি দ্বারা গ্রাহকদের জীবন সহজ এবং আকর্ষণীয় করে আসছেন। তামিম-শাওমির এই জুটি বাংলাদেশে শাওমির অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দেশসেরা এই ওপেনিং ব্যাটার বলেছেন, দেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড শাওমির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ব্র্যান্ড হিসেবে শাওমি সর্বদাই প্রশংসার দাবি রাখে। ব্র্যান্ডটি ধারাবাহিকভাবে তার গ্রাহকদের অত্যাধুনিক পণ্য সরবরাহ করছে। আমি এমন একজন মানুষ যার কাছে পারফরম্যান্স এবং রিলায়বিলিটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্র্যান্ড হিসেবে শাওমির ভিশন এবং আমার নৈতিকতার মধ্যে বেশ মিলও খুঁজে পাই। শাওমির সঙ্গে এই পথচলা আমার জন্য এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবে বলেই আমি আশা করছি।
শাওমি মনে করে, এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য, তামিমের উৎসাহমূলক ক্রিকেট জীবনের সঙ্গে শাওমির উদ্ভাবনী পণ্যগুলো যুক্ত করে দেশের তরুণ প্রজন্মের দোর দোড়ায় সেটি পৌঁছে দেওয়া।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org