দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অনেকেই। তারকাও বনে গেছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের ওপর প্রভাব রাখতে সক্ষম ব্যক্তিরা সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও পরিচিত। তাই বর্তমানে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবশালী তারকাদের কাজে লাগিয়ে পণ্যের প্রচারণা করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ। বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সারও তৈরি করছে মেটা।
মেটার তৈরি এআই ইনফ্লুয়েন্সারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও করতে পারবে। তরুণ প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের আকর্ষণের পাশাপাশি টিকটক এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে থাকতে এআই ইনফ্লুয়েন্সারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখবে বলে আশা করছে মেটা।
মেটার জেনারেটিভ এআই পণ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কনর হেইস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা লক্ষাধিক এআই প্রোফাইলও তৈরি করেছি। যেগুলো শুধু কনটেন্ট তৈরিই নয়, ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও করতে পারে। সাধারণ ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপরে নির্ভর করেই কনটেন্ট তৈরি করেন। তবে আমাদের এআই ইনফ্লুয়েন্সার তাৎক্ষণিকভাবেই ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার কনটেন্টও তৈরি করতে পারবেন।’
এআই ইনফ্লুয়েন্সারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং আস্থা আনার জন্য এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টে লেবেলও যুক্ত করবে মেটা। এই বিষয়ে কনর হেইস বলেছেন, ‘আমরা প্রতিটি এআইভিত্তিক কনটেন্টে স্পষ্টভাবে লেবেল যুক্ত করবো। যে কারণে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন, তারা এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছেন। এটি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আমাদের প্ল্যাটফর্মের প্রতি আস্থা গড়ে তুলতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তথ্যসূত্র : টাইমনিউজ ডটকম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org