দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজার মতোই অধিকৃত পশ্চিম তীরকেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক সম্পাদকীয়তে ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ এমনটিই বলছে।
ইসরায়েলের গণহত্যার কারণে পশ্চিম তীরজুড়ে উত্তেজনা দিনকে দিন বাড়ছেই। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর হতে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, যাদের বেশিরভাগই ছিলো নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, দখলকৃত পশ্চিম তীরের ভূখণ্ডেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে এই পর্যন্ত অন্তত ৮৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আহত হন।
দৈনিক হারেৎজ বলছে যে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি ৭ অক্টোবরকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে দেখলেও ডানপন্থিদের কেও কেও এটিকে একটি সুযোগ হিসেবেও দেখছেন।
অধিকৃত ভূখণ্ডে বন্দুক হামলায় ৩ অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী নিহত হওয়ার পরই গত সোমবার নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে ধারাবাহিক সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছেন। তার অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের জেনিন এবং নাবলুস শহর ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছেন, যেমনটি ঘটেছে উত্তর গাজার জাবালিয়াতে।
সোমবারের হামলার প্রতিশোধ নিতেই অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি শহরেও হামলা চালিয়েছে। দখলকৃত অঞ্চলে গাড়ি এবং সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
হারেৎজ আরও বলছে, পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা গাজায় কী ঘটছে না ঘটছে, তা দেখছে ও ঈর্ষায় ফুঁসছে। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান চালানোর জন্যও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজকে আহ্বান জানিয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org