দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে যে, অবশেষে গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর যুদ্ধ সমাপ্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কয়েকটি সূত্র আল আরাবিয়াকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। -খবর জেরুজালেম পোস্টের।
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহুর অবস্থানে স্পষ্টই পরিবর্তন এসেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলে যুদ্ধ সমাপ্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
কিছুদিন পূর্বে লেবাননভিত্তিক গণমাধ্যম কেএএন নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, কাতার ইসরায়েলকে এক ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে যে, একটি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতেও প্রস্তুত রয়েছে হামাস। কেএএনের ওই প্রতিবেদনে পর আল আরাবিয়া এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
হামাসের একটি সূত্র কেএএনকে আরও বলেছে যে, যুদ্ধবিরতিকেন্দ্রিক আলোচনা শুরু করার জন্য বিতর্কিত কিছু বিষয় এড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু হবে। ওইসব বিষয়ে পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনাও হবে।
বর্তমানে অন্যতম বিষয় হলো মিসরীয় সীমান্ত বরাবর অবস্থিত ফিলাডেলফি করিডোর হতে ইসরায়েলি সেনাদের অপসারণ। এদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েল। সেনাদের বর্বর হামলায় আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর থেকে ভূখণ্ডজুড়ে চলা ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির এইসব ঘটনা ঘটে। শনিবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার পাশাপাশি লেবাননেও প্রাণঘাতী হামলা চালায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে ইয়েমেনেও হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী এই দেশ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org