দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম শুধু নাটকই নয় সিনেমা অঙ্গনেও করেছেন বাজিমাত। শুধু দেশই নয়, দেশের বাইরেও তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে জয় করেছেন দর্শকদের মন।
অপরদিকে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। নানা সময় ভিন্নধর্মী কাজে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পান তিনি। এবার এই দুই দেশের তারকা একসঙ্গে আসতে চলেছেন প্রেক্ষাগৃহে। তাদের অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমা মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পোস্টার উন্মোচনের মধ্যদিয়ে সিনেমার নির্মাতা ফজলুল কবীর তুহিন ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বিলডাকিনি।
সিনেমাটি সম্পর্কে মোশাররফ করিম বলেন, এই সিনেমাটি আমার অনেক প্রিয় একটি সিনেমা। তার প্রধান কারণ হলো, এটি আমাদের সমাজের কথা বলে, সমাজের সমস্যার কথাও বলে। সমস্যা থেকে উত্তরণের কথাও বলে। মানুষের অমানুষ হয়ে ওঠার কথা বলে ও অমানুষকে মানুষ করার কথাও বলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিনয় করে সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সেন্সর ছাড়পত্র পায় সিনেমাটি। তারপর বেশ কয়েকবার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিলেও নানা জটিলতায় মুক্তি দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, ‘বিলডাকিনি’তে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে মানিক মাঝি চরিত্রে। সে বাউলের সন্তান। অপরদিকে পার্নোর চরিত্রের নাম হানুফা। গ্রামীণ নারী হানুফার গল্পেই আবর্তিত হয় বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের মূল কাহিনী। সিনেমাটির অন্যতম চরিত্রে রয়েছেন শাহজাহান সম্রাট। তাছাড়াও আরও অভিনিয় করেছেন গাজী রাকায়েত, সাবেরী আলম, লুৎফর রহমান জর্জ, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি সহযোগী প্রযোজনায় রয়েছে ডেটা সলিউশন।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমার পরিচালক হিসেবে মনজুরুল ইসলামের নাম করা হয়; পরে তার পরিবর্তে সিনেমাটি তুহিনকে এই সিনেমাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন প্রযোজক আবদুল মমিন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org