দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গর্ভে সন্তানধারণ করা ও লালনপালন করার সময় বহু প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। সেই কারণে স্বামীর কাছ থেকে ‘ক্ষতিপূরণ’ নিয়েছেন জনৈকা নারী!
গর্ভধারণ এবং মাতৃত্বের জন্য শারীরিক ক্ষতি এবং সেই কারণে স্বামীর থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করেছেন জনৈকা নারী। প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর অন্তর স্বামীর থেকে ৯ হাজার টাকা পান ওই নারী! ইংল্যান্ডের এক নেটিজেনের এই দাবিতে শোরগোল নেটমাধ্যম।
ক্যামিলা ডি রোজ়ারিয়ো নামে নেটপ্রভাবী নারীর এহেন দাবিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছে পুরো নেটপাড়ায়। প্রতি দু’মাসে তার হাতে যে টাকা আসে বছরের শেষে তার পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকারও বেশি। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেই অর্থ কীভাবে খরচ করেন তার তালিকাও তুলে ধরেছেন ওই নারী।
স্বামীর থেকে পাওয়া ওই ক্ষতিপূরণ নিয়ে তাহলে কী করেন ক্যামিলা?
ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন, দু’বার তাকে গর্ভধারণ করতে হয়েছে। গর্ভাবস্থায় তিনি প্রায় প্রতিদিনই বমি করতেন। সন্তানের জন্মের সময় তার অস্ত্রোপচারও হয়। তিনি পেডিকিওর ও মেনিকিওর করেন প্রতি মাসে। সেই খরচ আসে ওই ‘ক্ষতিপূরণের’ টাকা হতেই। যেদিন টাকা পান, সেই দিনটির জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। এই ক্ষতিপুরণকে ভিডিওতে ‘কর’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন ওই নারী ক্যামিলা। কর দেওয়ার কথা শুনলে বহু পুরুষের কপালে ভাঁজ পড়তে পারে জেনেও ক্যামিলা প্রকাশ করেছেন প্রকৃত সত্যিটা। এই টাকা দেওয়ার প্রস্তাবটি নাকি তার স্বামীর।
ক্যামিলা মনে করেন, মহিলাদের জীবনে নানা ঝড় সহ্য করতে হয়। সেখানে অধিকাংশ পুরুষের জীবন তুলনামূলক কম ঝঞ্ঝাটের হয়ে থাকে। তাই এই কর মহিলাদের প্রাপ্য বলেই মনে করেন তিনি!
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org