দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিকারি কুকুর তাড়া করেছে বড়সড় একটি ভালুককে। ভালুকটির পিছনের অংশ কামড়ে ধরে রয়েছে কুকুরটি। রীতিমতো গাছে তুলে দিয়েছে ভালুকটিকে!
বনের ভালুককে ডরায় বাঘ-সিংহ সবাই। হিংস্র ভালুকের থাবার সামনে পড়লে বেঁচে ফেরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হয়ে থাকে। উগ্র মেজাজের কারণে বনের অন্য পশুরাও এড়িয়ে চলে এই প্রাণীকে। সেই ধারণা অবশ্য ওলটপালট করে দিলো এক পোষ্য কুকুর। ভালুক দেখে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়া তো দূরের থাক, উল্টো ভালুককে তাড়া করে সোজা গাছে তুলে দিলো কুকুরটি। এমনই এক অদ্ভুত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ‘রিয়ালস্টিল হান্টিং’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হতে ওই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। ডিসেম্বরে পোস্ট করা ওই ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিকারি কুকুর তাড়া করেছে বড়সড় এক ভালুককে। ভালুকটির পিছনের অংশ কামড়েও ধরে রয়েছে কুকুরটি। ওই অবস্থায় ভালুকটি প্রাণে বাঁচতে বিশাল একটি গাছের উপরে উঠতে শুরু করে দেয়। কুকুরটিও যেনো নাছোড়বান্দা। ওই অবস্থায় ভালুকের সঙ্গে ঝুলে গাছ বেয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে কুকুরটিও। শেষ পর্যন্ত বেশ খানিকটা উপরে উঠে আক্রমণকারীকে গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে সমর্থ হয়েছে ভালুকটি। আর তখন বেশ উঁচু থেকেই মাটিতে সটান পড়ে যায় কুকুরটি। পড়ে গিয়ে কুকুরটির কী হাল হলো তা অবশ্য ভিডিওতে দেখা যায়নি। ভিডিয়োটি কোথায় তোলা হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। তবে তারপর ভালুকটিকে তরতর করে গাছ বেয়ে আরও কিছুটা উপরে উঠতে দেখা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org