দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসা কমনওয়েলথ স্কলারদের সাফল্য উদযাপনে ‘কমনওয়েলথ স্কলার্স ওয়েলকাম হোম’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
২৮ জানুয়ারি ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্কলারদের পাশাপাশি ব্রিটিশ হাই কমিশন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্ক্লারস অ্যান্ড ফেলোসের (বিএসিএসএএফ) প্রতিনিধিরা ও সম্মানিত বিভিন্ন অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসিএসএএফ -এর সভাপতি অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খানের উষ্ণ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে কমনওয়েলথ স্কলারদের উল্লেখযোগ্য অবদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল মিয়া এবং সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা মধুরিমা সাহা যুক্তরাজ্যে তাদের উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় তারা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে তাদের শিক্ষার প্রভাব তুলে ধরেন।
মেধাবী ও সম্ভাবনায় সকল স্কলার যারা যুক্তরাজ্যে তাদের শিক্ষাগ্রহণ শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, যুক্তরাজ্যে তারা যে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও টেকসই উন্নয়নের মতো খাতে অবদান রাখবেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস তার বক্তব্যে বলেন, “শিক্ষাগত ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে গিয়ে এ অনন্য অর্জনের ক্ষেত্রে আপনাদের নিষ্ঠা এবং অঙ্গীকার সত্যিকার অর্থেই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমাদের প্রত্যাশা, আপনারা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্ক্লারস অ্যান্ড ফেলোসের (বিএসিএসএএফ) -এর সাথে যুক্ত থাকবেন এবং এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সম্যক ধারণা ও অবদান সবার সাথে শেয়ার করবেন। আমার বিশ্বাস, আপনাদের কাজ বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।”
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লেফস মিউজিক ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কমনওয়েলথ স্কলার ইশরার হাবিব ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তার পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ স্কলারদের বিএসিএসএএফ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। বিএসিএসএএফ সভাপতি বোরহান উদ্দিন খান কমনওয়েলথ অ্যালামনাইদের মধ্যে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সংগঠনটির লক্ষ্য সবার সামনে তুলে ধরেন।
ভবিষ্যৎ উদ্যোগ নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং সেশনের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনটি শেষ হয়। সেশনে এ নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মের অর্জন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা। ‘ওয়েলকাম হোম’ অনুষ্ঠানটি স্কলারদের অ্যাকাডেমিক সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের ভিত্তি তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে যা দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে অর্থবহ অবদান রাখতে প্রস্তুত। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org