দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত বৃহস্পতিবার দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে ছোটপর্দার তারকা অভিনয়শিল্পী মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’।
ইতিমধ্যে শোনা খবর হলো, এবার ওটিটিতে আসছে ছোটপর্দার আরেকজন জনপ্রিয় তারকা তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ফাতিমা’।
ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গতে আগামি ২০ ফেব্রুয়ারি ‘ফাতিমা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা ধ্রুব হাসান। গত বছরের মে মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এ বছর প্রদর্শিত হয়েছে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে। এবার ঘরে বসে সিনেমাটি দেখা যাবে।
‘ফাতিমা’ সিনেমাতে নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুর দিকেই এই সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি। মাঝখানে প্রায় অর্ধযুগ সিনেমাটির শুটিংও বন্ধ ছিলো। যারমধ্যে ছোটপর্দায় ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ফারিণ।
দীর্ঘ বিরতির পর পুনরায় শুটিং করার পর সম্পন্ন হয় ‘ফাতিমা’র কাজ। গত বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই ইরানের ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় সিনেমাটি। ইস্টার্ন ভিস্তা কম্পিটিশন বিভাগে অংশ নিয়ে পুরস্কারও জিতে নেয় ‘ফাতিমা’। এই সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ক্রিস্টাল সিমোর্গ অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন তাসনিয়া ফারিণ।
এক নারীর সংগ্রামের গল্প নিয়েই নির্মিত এই ছবিতে ফারিণ ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, তারিক আনাম খান, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমিত সেনগুপ্ত ও পান্থ কানাই প্রমুখ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org