দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কেও এমন দৃশ্য দেখে ভড়কে যাবেন। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে। দৃশ্যটি ছিলো এমন- নিজের জন্মদিনে রক্তমাখা মুখ, হাতে কাটারি- এমন এক চমকপ্রদ লুকে ধরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী।
মিমির নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ডাইনি’-র প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের কৌতূহল এখন তুঙ্গে। মিমির এই লুক দেখেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার ‘ডাইনি’র চরিত্রেই দেখা যাবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে?
পরিচালক নির্ঝর মিত্র অবশ্য বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘ডাইনি হত্যা প্রথা’র বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই এই সিরিজটি নির্মাণ করেছেন তিনি। এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুসংস্কারের শিকার হয়ে বহু নারীকে ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকে। এই সিরিজ সেই অন্ধকার বাস্তবের বিরুদ্ধেই মূলত প্রতিবাদ জানাবে।
গত বছর কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন লোকেশনে সিরিজটির শুটিং শেষ করা হয়েছে। পরিচালক জানিয়েছেন যে, ‘ডাইনি’-র মাধ্যমে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ‘সারভাইভাল থ্রিলার’ ঘরানাকে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন তিনি।
এই সিরিজের কাহিনী গড়ে উঠেছে মূলত উত্তরবঙ্গের প্রেক্ষাপটে, যেখানে দুই বোনের জীবনসংগ্রামের এক গল্প বলা হবে। তবে সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য এই মুহূর্তে প্রকাশ করতে চান না পরিচালক।
মিমির চরিত্রটি আসলে কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘‘পোস্টারের মতোই সিরিজেও মিমিকে নতুনভাবেই দেখতে পাবেন দর্শকরা।
‘ডাইনি’ ওয়েব সিরিজে মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রুতি দাস এবং বিশ্বজিৎ দাস। এই ‘ডাইনি’ সিরিজটি ওটিটি প্লাটফ্রম হৈচৈ এ মুক্তি পাবে আগামী মাসে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org