দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বুদ্ধিমত্তা সব মানুষের থাকা উচিত। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতে, কম বুদ্ধিমান মানুষদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যও দেখতে পাওয়া যায়। পরিচিত কারও মধ্যে সেইসব বৈশিষ্ট্য দেখতে পেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।
কর্মক্ষেত্রেই হোক কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেই হোক, সঙ্গীর মধ্যে বুদ্ধিমত্তার অভাব থাকলে বেশ অসুবিধা হয়। প্রাথমিকভাবে বুঝতে না পারলেও ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পেতে থাকে। বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতে, কম বুদ্ধিমান মানুষদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যও দেখতে পাওয়া যায়। পরিচিত কারও মধ্যে সেইসব বৈশিষ্ট্য দেখতে পেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।
সরল বিষয়গুলো বোঝার অক্ষমতা
সাধারণ সহজ সরল বিষয়গুলো বুঝতেও তাদের অসুবিধা হয়। যে কারণে তাদের সঙ্গে লোকজনের যোগাযোগ বেশ চ্যালেঞ্জিংও হয়ে ওঠে। প্রাথমিক কাজগুলো সারতে তারা রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যান। জটিল বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণে সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে। যে কারণে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বিকাশের সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যায়।
কৌতূহলের অভাব
যদি কেও কখনও নতুন জিনিস শেখার আগ্রহ না দেখান, তাহলে বুঝবেন তারমধ্যে বুদ্ধিমত্তার খানিকটা হলেও অভাব বিদ্যমান। নিজেদের জ্ঞানের প্রসার ও উন্নতিতে তাদের বিশেষ আগ্রহও থাকেন না। কৌতূহল বুদ্ধির বিকাশকে আরও উৎসাহিত করে।
ঘন ঘন ভুল করা
একই ভুল বার বার করে ফেলা, বিশেষ করে যখন কোনও তথ্য সহজেই পাওয়া সম্ভব জেনেও তার সঠিক ব্যবহার না করা, কম বুদ্ধিমত্তারই পরিচয় বহন করে। তাদের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের পরিবর্তে সাবেকি নিয়মেই অতি পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করার একটা প্রবণতাও থাকে।
তথ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি
ভুল প্রমাণিত হলেও তারা একগুঁয়েভাবে তথ্য প্রত্যাখ্যান করতেই থাকেন। নতুন কোনো তথ্য, আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবহারে এই সমস্ত লোকদের অনীহা থাকে যথেষ্ট। এই ধরণের আচরণ ব্যক্তিগত উন্নতি ও শেখার ক্ষেত্রে বাধাও সৃষ্টি করে। নিজেদের ভুল সংশোধন করতেও তারা চান না। উপরন্তু নতুন কিংবা পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে নিতেও বিরক্ত বোধ করেন। শেখার পরিবর্তে কাজের প্রতি তাদের অনীহাও তৈরি হয়।
সমস্যা সমাধানে অসুবিধা
পরিস্থিতির সমাধান খুঁজে বের করা কিংবা সমালোচনামূলকভাবে চিন্তার অভাব, তাদের মধ্যে কমন। এই বৈশিষ্ট্য সৃজনশীলতা কিংবা বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার অভাবেরই ইঙ্গিত। যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আত্মসচেতনতার অভাব
যে ব্যক্তি তার দুর্বলতা কিংবা সীমাবদ্ধতাগুলো বুঝতে পারেন না, তারা সাধারণত অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হন। যে কারণে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ও উন্নতি কিংবা বিকাশের সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যায়। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৫ 1:31 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…