দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। চার্জ শেষ হয়ে গেলে অনেকেই কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে মোবাইল ফোন চার্জ করেন। তবে নিয়মিত এভাবে চার্জ করা কতোটা নিরাপদ সেটি কী আপনি জানেন?
কেনো ল্যাপটপ থেকে মোবাইল ফোন চার্জ করা ঠিক নয়?
চার্জিং স্পিড কমে যায়
ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টের পাওয়ার আউটপুট কম হওয়ার কারণে মোবাইল ফোন চার্জ হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগে।
ব্যাটারির স্থায়িত্বও কমে যেতে পারে
দীর্ঘদিন ল্যাপটপ থেকে চার্জ করলে মোবাইল ফোনের ব্যাটারির কার্যক্ষমতাও কমতে পারে।
মোবাইল ফোন অতিরিক্ত গরমও হতে পারে
আসল চার্জারের তুলনায় ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট হতে চার্জ করলে মোবাইল ফোন দ্রুত গরম হয়ে ব্যাটারিকে ক্ষতিগ্রস্তও করতে পারে।
বিস্ফোরণের ঝুঁকি
অনিয়মিত ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হলে মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে সমস্যা তৈরি হয়ে বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থাকতে পারে।
এরপরও যদি বাধ্য হয়ে ল্যাপটপ থেকে চার্জ করেন তাহেল শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় ল্যাপটপ থেকে মোবাইল ফোন চার্জ করুন।
তবে আসল চার্জার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে চার্জিং বন্ধ করুন।
অতএব, নিয়মিত ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার হতে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া মোটেও ঠিক না। এটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org