দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বন্ধুত্বের বন্ধন কতোটা মজবুত হতে পারে তা ভালো বন্ধুরাই জানেন। হারিয়ে যাওয়া পুরনো বন্ধুত্ব ফিরে পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তবে তার জন্য কয়েকটি টোটকা আপনাকে মানতেই হবে।

এক সময় আপনাদের বন্ধুত্ব ছিল গলায় গলায়। একে-অপরকে ছেড়ে থাকা কল্পনার বাইরেই ছিল। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে বহু দূর। সেই টান টান বন্ধুত্বে এখন যেনো চিড় ধরেছে। যোগাযোগ থাকলেও সম্পর্ক কিন্তু আগের মতো নেই। তবে পুরনো বন্ধুত্ব ফিরে পাওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। তবে সেজন্য কয়েকটি টোটকা আপনাকে মানতে হবে।
# এক মুহূর্তের দেখাতেই অনেক সময় অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। তাই দু’জনে যতো দূরেই থাকুন না কেনো, এক বার হলেও মুখোমুখি হওয়াটা জরুরি। ফোনে কথা বললে ভুল বোঝাবুঝির অবসান নাও হতে পারে। বা মনের ভাব সরাসরি প্রকাশ করা যায় না। তাই সামনাসামনি দেখা করে কথা বললে যে আবেগ কিংবা অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবেন, তাতে বন্ধুত্ব আরও অনেক মজবুত হবে।
# আর বন্ধুত্বে দূরত্ব তৈরি হলে, একটু সময় দিতে হবে একে অপরকে। তাতে দেখবেন সম্পর্ক আবার আগের মতো হয়ে গেছে। ক্ষত সারতেও একটু সময় লাগবে। নতুন করে শুরু করলে একটু অপেক্ষা করলে ধীরে ধীরে সবই ঠিক হয়ে যাবে।
# আপনার অনেক দিনের চেনা বন্ধু। বন্ধুত্বের বয়সও একেবারে কম নয়। তাই বলে বন্ধুত্বে একটা সীমা থাকাটাও জরুরি। মাঝে যে সময়পর্বে একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগই ছিল না, তখন জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে, যা নিয়ে কথা বলতে হয়তো তিনি স্বচ্ছন্দও নন। তেমন কিছু কথা জিজ্ঞেস করে বন্ধুকে বিব্রত করার কোনও দরকার নেই। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org