দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ভারতের তেলঙ্গানার জানগাঁওয়ের সূর্যপেট রোডে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার ধারে পার্ক করা ৮টি বাইককে ধাক্কা মারে সাদা রঙের একটি দ্রুতগামী গাড়ি।
রাস্তার ধারে সার বেঁধে দাঁড় করানো ছিল ৮টি বাইক। মদ্যব অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এসে বাইকগুলোকে ধাক্কা মেরে উড়িয়ে দিলেন চালক। ঘটনায় আহত হলেন ৩ জন। যারমধ্যে এক জন মহিলা গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। তেলঙ্গানার জানগাঁওয়ের সূর্যপেট রোডে ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রাস্তার ধারে পার্ক করা ৮টি বাইককে ধাক্কা মারে সাদা রঙের একটি দ্রুতগামী গাড়ি। ওই ঘটনারই ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। ভাইরালও হয়েছে ভিডিওটি।
ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। ‘শঙ্কর১০০৩৮২’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ওই ভিডিওটি। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারলো দাঁড় করিয়ে রাখা বাইকগুলোকে। রাতের অন্ধকারে নয়, বরং দিনেদুপুরে ঘটেছে এই দুর্ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় গাড়িটি প্রায় রাস্তায় উল্টে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আড়াআড়িভাবে প্রবল গতিতে গাড়িটি এসে বাইকগুলোকে ধাক্কা দিয়ে ঘষতে ঘষতে খানিকটা দূর ঠেলে দেয়। ধাক্কা লাগার কারণে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকাটি। কয়েক জন সামনের সিঁড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে উঠে কোনো মতে প্রাণে বাঁচেন। প্রচণ্ড শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। গাড়ির ভিতরে ৪ জন মধ্যবয়সি যাত্রী ছিলেন বলে জানা যায়। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মত্ত চালককে পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
এক্স এর ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org