দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজল আরেফিন অমি মানেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক বিশাল আগ্রহ। এবার অমি পরিচালিত ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, পাভেল অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ গত ভালোবাসা দিবসে আসার কথা থাকলেও পিছিয়ে গিয়েছিলো। এবার নির্মাতা জানিয়েছেন, এটি আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে পরিচালক অমি জানিয়েছেন, পোস্ট প্রডাকশনে কালারের কাজ শেষ না হওয়ায় মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ভিসা জটিলতাও ছিল। তিনি বলেন, ‘হাউ সুইট’ ঈদে মুক্তি দিলে আরও বেশি জমবে। কারণ হলো, এটি রোম্যান্টিক ও কমেডি গল্পে নির্মিত। আমার বিশ্বাস ঈদে দর্শকদের মন মাতাবে এটি।
বরিশাল, ঢাকার বিভিন্ন লোকেশন শুটিং হয় ‘হাউ সুইট’র। অমি বলেছেন, চমচম খেলে যেমন মিষ্টি অনুভব হয়, এই গল্পটি দেখলেও দর্শকদের মনে সেই অনুভূতি হবে। এই ধরনের কাজে অপূর্ব ভাই ছাড়া কেও মাথাতেই আসেনি। ফারিণের সঙ্গেও আমার বোঝাপড়া অনেক ভালো। সে রোমান্টিক ও সিরিয়াস দুই চরিত্রেও ভালো করে। সে কারণে অপূর্ব ভাই এবং ফারিণকে নেওয়া হয়েছে। অপেক্ষা করছি কবে ‘হাউ সুইট’ দর্শকদের দেখাতে পারবো।
সাম্প্রতিক সময় নাটক নির্মাণ কমিয়ে ওটিটি’র কাজেই বেশি দেখা যাচ্ছে অমিতে। বঙ্গতে তিনি পরপর হোটেল রিলাক্স, অসময় কনটেন্টগুলো বানিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন। এই নির্মাতা বিভিন্ন মন্তব্যে বলে থাকেন যে, সিনেমা বানাবেন; তার প্রস্তুতি হিসেবেই ওয়েব কনটেন্ট বানিয়ে অভিজ্ঞতাকে ঝালাই করে নিচ্ছেন তিনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org