দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতে বাঁধা ‘স্মার্ট’ ঘড়ি প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছে যে, আপনার ক্যালোরি কতটা পুড়ছে। ডায়েটও করছেন, তার পরেও ওজন মাপার যন্ত্রে তা ধরা পড়ছে না।
পানির এক নাম যদি জীবন হয়, তাহলে অপর নামটি কী? নির্ঘাত ‘মরণ’! কেনো?
কারণ হলো, এত দিন ধরে জেনে এসেছেন যে, দেহের ওজন বাড়ে মেদের জন্য। এখন আবার তারসঙ্গে যোগ হয়েছে পানিও। ক্যালোরি পুড়িয়ে হয়তো মেদ গলিয়ে ফেললেন। তবে মরণপণ চেষ্টা করেও শরীর থেকে পানির বাড়তি ওজন কমাতে পারছেন না। তাহলে কী পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবেন? কিন্তু সুস্থ থাকতে গেলে তো সারা দিনে অন্ততপক্ষে ৭-৮ গ্লাস পানি আপনাকে খেতেই হবে। শরীরে পানির ঘাটতি হলে শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মও থমকে যেতে পারে।
তবে দেহের ভিতর বাড়তি এই পানির উৎস কী? এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে জমা পানির সঙ্গে পানি খাওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস বা শারীরিক সমস্যার কারণে শরীরের নানা ধরনের প্রকোষ্ঠে, অস্থিসন্ধিতে পানি জমতে শুরু করে। টিস্যুও বেশ অনেকটা পরিমাণ পানি ধরে রাখতে পারে। মেদ তো রয়েছে, সঙ্গে এই পানির কারণেও দেহের ওজন অনেকটা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে বলে ‘ওয়াটার রিটেনশন’। কিছু ক্ষেত্রে মেদ ঝরানো সহজ হলেও পানির ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না।
কী কারণে ‘ওয়াটার রিটেশন’ হয়ে থাকে?
# খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে ‘ওয়াটার রিটেনশন’ কিংবা পানির পরিমাণ বেড়েও যেতে পারে। সে কারণে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বিঘ্নিত হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
# এই ধরনের সমস্যা মহিলাদের মধ্যে বেশিই দেখা যায়। বিশেষত: ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পূর্বে কিংবা পরে। কারণ হলো, প্রতি মাসে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পূর্বে ও পরে প্রজননে সহায়ক হরমোনগুলোর মাত্রাও ওঠানামা করে। যে কারণে শরীরে ফ্লুইডের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।
# আবার এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো শরীরে পানির মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে। লিভার, কিডনি কিংবা হার্টের নির্দিষ্ট বেশ কিছু সমস্যায় শরীরে পানির পরিমাণ বাড়তে শুরু করে দেয়।
# খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত কিংবা কৌটোজাত খাবার, তৎক্ষণাৎ বানিয়ে ফেলা যায় এমন খাবারও ডায়েট হতে বাদ দিতে হবে।
# কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে মেপে মেপে। কারণ হলো, অতিরিক্ত কার্ব দেহের পেশি ও লিভারে গ্লাইকোজেন রূপে জমা হতে থাকে। এই উপাদানটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে। যে কারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
# পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। পানি কম খেয়ে শরীরে জমা ‘পানি’-এর পরিমাণ কমানো যাবে না। উল্টো বেশি করে পানি খেলে শরীরে জমা ‘টক্সিন’ সহজেই বেরিয়ে যাবে।
# আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মিত শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করলে ‘ওয়াটার রিটেনশন’-এর সম্ভাবনা কমে যাবে।
# ডায়েটে সোডিয়ামের পরিবর্তে পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার রাখা যেতেই পারে। পটাশিয়াম শরীরে জমা ফ্লুইডের পরিমাণ হ্রাস করতেও সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ১১, ২০২৫ 3:08 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনের মধ্যে কথা চেপে না রেখে, তা খোলাখুলি বলে দিলেও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রতারণা দিন দিন যেনো বেড়েই চলেছে। এমনি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজের মধ্যেই কাঁধে ব্যথা। বা ঘুম থেকে উঠেই ঘাড়ে যন্ত্রণা।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের ছোট পর্দায় আলোচিত এক অভিনেত্রী পারসা ইভানা। মার্কিন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়ে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের ভিন্দ রোডের ‘দ্য লিগ্যাসি প্লাজা’ নামে…