দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে অনার এক্স৯সি স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশ। টেকসই ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ফোনটি মিড-রেঞ্জ ক্যাটাগরিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে ফোনটি।
‘দ্য আনব্রেকেবল ফোন’’ হিসেবে পরিচিত এই স্মার্টফোনটির গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও রয়েছে! স্মার্টফোনটির ড্রপ টেস্টে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়—২৬৪ জন একইসঙ্গে মোবাইল ফোনটি ওপর থেকে ফেলে দিয়ে এর স্থায়িত্ব টেস্ট করে। এই টেস্টের মাধ্যমে অনারের এই স্মার্টফোনটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ফোন হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। স্মার্টফোনটিতে স্থায়িত্বের সঙ্গে নিশ্চিত করা হয়েছে সর্বোচ্চ সুরক্ষা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, অসাধারণ ডিসপ্লে, উন্নত ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক এআই অভিজ্ঞতা। এই স্মার্টফোনটির ডিজাইনেও রয়েছে নান্দনিকতা।
অনার এক্স৯সি -তে নতুন প্রজন্মের অ্যান্টি-ড্রপ ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে; যে কারণে, ২ মিটার উচ্চতা থেকে পড়লেও স্মার্টফোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আল্ট্রা-টেম্পারড গ্লাস এবং রেজিস্ট্যান্স শিল্ড ব্যবহার করে স্মার্টফোনটি এর আগের মডেল এক্স৯বি -এর তুলনায় ১৬৬ শতাংশ বেশি টেকসই করা হয়েছে । স্মার্টফোনটিতে তিন স্তরের পানিরোধী কাঠামো রয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি ওয়াটার প্রোটেকশন প্রদান করে ও এর আইপি৬৫এম ধুলা প্রতিরোধী।
প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে ফোনটিতে সর্বোচ্চ ব্যাটারি সক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অনার এক্স৯সি -তে ব্যবহার করা হয়েছে সুবিশাল ৬৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি। এর ৬৬ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির ফলে মাত্র ৪২ মিনিটে ফোনটি শূন্য হতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হবে। মাত্র ৫ মিনিটের চার্জে ৭ ঘণ্টার অতিরিক্ত ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যাবে। এছাড়াও, স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ডিএক্সওমার্কের বৈশ্বিক ব্যাটারি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। স্মার্টফোনটিতে আর্মর-লেভেল প্রোটেক্টিভ কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিশ্চিত করবে উন্নত এনার্জি ম্যানেজমেন্ট।
অনার এক্স৯সি’র ক্যামেরায় রয়েছে এআই-পাওয়ারড ১০৮ মেগাপিক্সেল সমৃদ্ধ আল্ট্রা-সেন্সিং ক্যামেরা, যা ১/১.৬৭” বড় সেন্সর ও ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) প্রযুক্তিসম্পন্ন। স্মার্টফোনটির ক্যামেরায় তোলা ছবি হবে স্পষ্ট এবং ঝকঝকে। স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি নিশ্চিত করবে যেনো ছবি তোলার সময় হাত কেঁপে গেলেও ছবি ঝাপসা না হয়।
স্মার্টফোনটি সম্পর্কে অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “দেশের বাজারে অনার এক্স৯সি উন্মোচন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে শক্তিশালী স্মার্টফোন। টেকসই এই স্মার্টফোনটিতে নিশ্চিত করা হয়েছে সুদীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ। অনার এক্স৯সি’র উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আমাদের বিশ্বাস, অনার এক্স৯সি -এর দুর্দান্ত ফিচারগুলো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাও পছন্দ করবেন। ক্রেতাদের জন্য মানসম্পন্ন এবং টেকসই পণ্য নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
দেশের বাজারে টাইটেনিয়াম পার্পল, টাইটেনিয়াম ব্ল্যাক এবং জেড সায়ান রঙে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। ১২জিবি + ২৫৬জিবি সংস্করণের অনার এক্স৯সি স্মার্টফোনটির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪,৯৯৯ টাকা।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org