দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও মালালা উঠে এসেছে বিশ্বের প্রচার মাধ্যমে। গতকালের তালেবান হুমকির পর এবার রাজনীতিতে প্রবেশের কথা জানিয়েছেন এই বিশ্ব নন্দিত তরুণী।
এক আত্ম জীবনিতে এমন মনোভাব ব্যক্ত করেছেন মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের স্কুল ছাত্রী ও নারী শিক্ষার পক্ষে প্রচারণাকারী মালালা ইউসুফজাই ৮ অক্টোবর প্রকাশিত আত্মজীবনীতে তালেবানের হামলার মুহূর্তটির কথা আতংকের সাথে স্মরণ করেছেন। খবর সংবাদ মাধ্যম সূত্রের।
আই অ্যাম মালালা
‘দ্য গার্ল হু স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড ওয়াজ শট বাই দ্য তালেবান’ নামের আত্মজীবনীটির সহ-লেখক ব্রিটিশ সাংবাদিক ক্রিস্টিনা ল্যাম্ব। এতে মালালা ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের সোয়াতে তার ওপর তালেবানের হামলার সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দেয়।
ওই জীবনীতে বলা হয়েছে, বান্ধবীদের সঙ্গে যাওয়ার পথে স্কুলবাসে দু’জন বন্দুকধারী ওঠে। এদের একজন আমার মাথা বরাবর একের পর এক ৩টি গুলি চালায়। হাসপাতালে যখন আমাদের নেয়া হলো তখন আমার চুল ও বান্ধবী মনিবার কোল রক্তে ভেসে যায়। মালালার মাথায় এ সময়ে লম্বা চুল ছিল ।
ওইবইটিতে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সোয়াত উপত্যকায় ২০০০ সালের মাঝামাঝি তালেবানের বর্বর শাসনামলে মালালার জীবনযাপনের চিত্র উঠে আসে। এছাড়া এতে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে মালালার সম্পৃক্ত হওয়ার বাসনার কথাও তুলে ধরা হয়। বর্তমানে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় নগরী বার্মিংহামে বসবাসরত মালালা নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
মালালা বলছে, এখানে নারীরা চাকরি করছে, যা সোয়াতে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আত্মজীবনীতে মালালা বারবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কথা টেনে আনে। সে স্পষ্টভাবে তার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলে, তালেবানের অব্যাহত হুমকি সত্ত্বেও একদিন সে দেশে ফিরবে, রাজনীতিতে যুক্ত হবে। যদিও সে জানে সুযোগ পেলেই তালেবান তার ওপর চড়াও হবে।
হামলার কয়েকমাস আগ থেকে সে যে তালেবানের কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছিল সে কথাও রয়েছে তার আত্মজীবনীতে।