দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক আয়োজন ‘জাপান আইটি উইক ২০২৫’ (স্প্রিং) শুরু হয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিওর বিখ্যাত প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘টোকিও বিগসাইট’-এ।
২৩ হতে ২৫ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত চলা এই আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাই- টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর ছয়টি সদস্য প্রতিষ্ঠান এই আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ দাউদ আলী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাপানে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মোঃ তবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম ফরিদ উদ্দিন।
এবারের জাপান আইটি উইকে বেসিসের সদস্য ৬টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নিজেদের সেবা প্রদর্শন করবে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলোঃ বাংলাফায়ার সলিউশন লিমিটেড, বিজেআইটি লিমিটেড, ইনুমেন্ট সলিউশন্স লিমিটেড, টুইনফোর্চ সলিউশন্স লিমিটেড, ফ্রনচার টেকনোলজিস লিমিটেড এবং রেভো ইন্টারেক্টিভ।
বাংলাদেশ থেকে জাপান আইটি উইকে বেসিস-এর অংশগ্রহণে সার্বিক সমন্বয় করছেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য মো. রওশন কামাল জেমস।
এ সম্পর্কে বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেন, “জাপান আইটি উইকের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিত্ব করা আমাদের জন্য এক বড় অর্জন। এই অংশগ্রহণ আমাদের স্টার্টআপ ও আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈশ্বিক সুযোগ সৃষ্টি করবে, পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তুলে ধরবে বিশ্ব দরবারে।”
জাপান আইটি উইকের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। এই অংশগ্রহণ কেবল আমাদের স্টার্টআপ ও আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈশ্বিক সুযোগ সৃষ্টি করবে না, বরং বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার এক উজ্জ্বল সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও, এই আয়োজনের মাধ্যমে জাপানি বিনিয়োগকারী ও অংশীদারদের কাছ থেকে ব্যবসায়িক লিড প্রাপ্তির সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে।”
উল্লেখ্য, জাপানের এই ট্রেড শোতে অংশগ্রহণকারী বেসিস সদস্যরা স্টলগুলোতে তাদের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও পরিষেবা সম্পর্কে জানানো এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারি-তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই মিলনমেলা।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ২৪, ২০২৫ 2:55 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের অনেকেরই যখন-তখন চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ট্রেন ড্রিমস’ সিনেমার গল্পে জীবন এবং মৃত্যু পাশাপাশি হাঁটে- ঠিক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালীন ঝড় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় এক ভয়াবহ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…