দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী মুক্তির আগেই ভারতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে টম ক্রুজ অভিনীত ‘মিশন: ইমপসিবল-দ্য ফাইনাল রেকনিং’। এই সিনেমাটি সারাবিশ্বে আগামী ২৩ মে মুক্তি পাবে।
অথচ এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ‘মিশন: ইমপসিবল’ সিরিজের সর্বশেষ এই সিনেমাটি। ইথান হান্টের চরিত্রে অভিনয় করা টম ক্রুজ ভারতের ভক্তদের জন্য এটি একটি দারুণ খবর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনেমাটি ১৭ মে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে। এর এক সপ্তাহ পর ২৩ মে বাকি বিশ্বে মুক্তি দেওয়া হবে। নির্মাতা ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি এমনটিই জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও ভারতের বহুভাষিক দর্শকের কথা মাথায় রেখে এই সিনেমাটি ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের দর্শকরা নিজেদের ভাষাতেই উপভোগ করতে পারবেন টম ক্রুজের দুর্ধর্ষ এই অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সিনেমাটি হতে যাচ্ছে ‘মিশন: ইমপসিবল’ সিরিজের সর্বশেষ এই সিনেমাটি। টম ক্রুজের চরিত্র ‘ইথান হান্ট’ এই পর্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং জটিল মিশনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। থাকছে চমকপ্রদ স্টান্ট, টান টান উত্তেজনা ও বিশ্বব্যাপী অভিযান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগাম মুক্তির কৌশল ভারতের বাজারে এই সিনেমাটির বক্স অফিস সাফল্যে বড় প্রভাবও ফেলবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘ডেড রেকনিং’-এর প্রথম পর্ব, এবার আসছে সেটিরই চূড়ান্ত পর্ব। এবারও ইথান হান্টের চরিত্রে হাজির হচ্ছেন টম ক্রুজ। তাকে ভয়ংকর এক শত্রুর মুখোমুখি হতে দেখা যাবে।
তারকাবহুল এই সিনেমাতে টম ক্রুজ ছাড়াও রয়েছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভানেসা করবি, সাইমন পেগসহ আরও অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org