দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি (ডিবিএইচ) ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে। এ সুপারিশ আগামী ১৯ জুন ২০২৫-এ অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
২০২৪ অর্থবছরে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি কর পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে ১০০.৮৫ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে ছিল ৯৮.৪৪ কোটি টাকা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২০২৩ সালের ৪.৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে হয়েছে ৫.০৭ টাকা। একই সঙ্গে, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ২০২৩ সালের ৪৩.৬৩ টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৭.২৫ টাকায়। ডিবিএইচের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ৩০.৪৬ শতাংশ ও রিটার্ন অন ইকুইটি (আরওই) ১১.১৫ শতাংশ। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির গৃহঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ শতাংশ ও কোর ডিপোজিট পোর্টফোলিও প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ।
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ডিবিএইচ গত ২৮ বছর ধরে দেশে প্রায় ৬০ হাজারের বেশী পরিবারকে গৃহঋণ প্রদান করেছে। ডিবিএইচ বর্তমানে দেশের সকল বিভাগীয় শহরসহ ১৬টি শাখার মাধ্যমে হোম লোন, ইসলামিক হাউজিং ফাইন্যান্স, সাশ্রয়ী আবাসন লোন এবং ডিপোজিট সেবা প্রদান করছে। ডিবিএইচের খেলাপী ঋণের পরিমান ১ শতাংশেরও কম এবং প্রতিষ্ঠানটি গত ১৯ বছর ধারাবাহিকভাবে সর্বো”চ ক্রেডিট রেটিং ট্রিপল এ (AAA) রেটিং অর্জন করেছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org