দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবারের ঈদে দেশে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত দুই সিনেমা রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ এবং তানিম নূরের ‘উৎসব’। দুটি সিনেমা নিয়ে দর্শকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে।
ঈদের আগে ১৬ মে মুক্তি পায় পিপলু আর খানের ‘জয়া আর শারমিন’। এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, জুলাইতে তার নতুন আরেকটি সিনেমা মুক্তি পাবে কলকাতায়।
সিনেমার একটি পোস্টার শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘ডিয়ার মা’ আসছে আগামী ১৮ জুলাই। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সিনেমাটির ট্যাগলাইন হলো ‘রক্তের সম্পর্ক না ভালোবাসার টান’। পোস্টের নিচে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীসহ অনেকেই তাকে শুভকামনাও জানিয়েছেন। জয়া এর আগে অনিরুদ্ধ পরিচালিত হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’–এ অভিনয় করেন। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তি পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিফাইভে।
ইতিপূর্বে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনিরুদ্ধ সিনেমাটি সম্পর্কে বলেন যে, সিনেমার দুই মুখ্য চরিত্রে কাজ করছেন জয়া এবং চন্দন রায় সান্যাল। ছোট মেয়েকে ঘিরে বাবা-মা মায়ের গল্প এগোলেও অন্য সম্পর্কের গল্পও স্থান করে নেবে এই সিনেমায় বলে জানিয়েছিলেন নির্মাতা। ছবিতে আরও রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, মালয়ালম অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এই কোরবানী ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’–এ জয়াকে দেখা গেছে প্রভাবশালী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করতে। অপরদিকে ‘উৎসব’–এ তিনি অভিনয় করেছেন ভূতের চরিত্র।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org