দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই সারাদিন ধরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েই চলেছে। পানি-কাদাতেই রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। ছাতা, রেইনকোট ব্যবহার করলেও পা কাদাতে কিন্তু ফেলতেই হচ্ছে। তাই এই সময় পায়ের যত্ন নিতে হবে। বর্ষাতে পায়ে সংক্রমণ হওয়ার ভয়ও সবচেয়ে বেশি।

অধিকাংশ সময়ই বৃষ্টিতে পা পানিে ভিজে থাকে। তার উপর যদি জুতা ভালো না হয়, আরও সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। তাই বাড়ি ফিরে পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিতে হবে। তবে পা ধোয়ার পরও পায়ের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই কিভাবে পা পরিষ্কার রাখবেন, সেটি আজ জেনে নিন।
লবণ এবং গরম পানি
প্রতিদিন বাড়ি ফিরেই পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে পায়ে থাকা কাদা ধুয়ে যাবে। তারপর একটি গামলায় গরম পানি নিন। এতে শ্যাম্পু, লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে পা মিনিট দশেক ডুবিয়ে রাখুন। এরপর পা ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন।
কফি দিয়ে পা স্ক্রাব করুন
প্রথমে এক কাপ কফি নিন। তাতে নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি দিয়ে পা ভালো করে স্ক্রাব করে নিতে হবে। প্রতিদিন গোসলের সময় বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে এই কাজ সারতে পারেন। এতে করে পায়ের নখে ও ত্বকে জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ পরিষ্কার হবে।
পা শুকনো রাখুন
বাড়ি ফিরেই পা ধুয়ে নিন। এরপর শুকনো গামছা কিংবা তোয়ালে দিয়ে পা মুছে নিন। চেষ্টা করুন পা সবসময় শুষ্ক রাখার চেষ্টাও করুন। পায়ের আঙুলের খাঁজগুলো ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। প্রয়োজনে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার লাগিয়েও নিতে পারেন। এ ছাড়াও অ্যান্টিসেপটিক ফুট ক্রিম ব্যবহারও করতে পারেন। ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে পায়ে ফুট ক্রিম কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলিও মাখতে পারেন। এটি পা ফাটার সমস্যা এবং সংক্রমণও প্রতিরোধ করবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org