দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাথাব্যথা সমস্যা এখন প্রায় সবার মধ্যেই দেখা যায়। আর মাথাব্যথা হলে ট্যাবলেট কিংবা বাম ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এবার এমন এক ডিভাইস এসেছে যার দ্বারা ঝামেলামুক্তভাবে মাথাব্যথা সারানো সম্ভব।
এখন ডিজিটাল যুগ। আর তাই মাথাব্যথার জন্য আর ট্যাবলেট লাগবে না। একটা ডিভাইস লাগিয়ে নিলেই সব বাজিমাত, আর মাথাব্যথা থাকবে না। মাথাব্যথা বাপ বাপ করে পালাবে। জীবনেও আর আপনার, মানে আপনার মাথার ধারেকাছেও আসার কথা ভাবতে পারবে না। মার্কিন গবেষকরা এমনই একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছেন। যা দিয়ে অনায়াসে মাথাব্যথা সারানো যাবে। বাম লাগিয়ে মাথায় মালিশ কিংবা ট্যাবলেট খাওয়ার মতো ঝামেলায় আর পড়তে হবে না।
ডিভাইস লাগানোর ব্যাপারটা এমন আর অসম্ভব কী তা ছাড়া ডিভাইস লাগানোর ব্যাপারটা হাতে-কলমে পরীক্ষা করাও হয়ে গেছে। তার মানে, গবেষণাটা কেবল কাগজে-কলমেই নয়, প্রায়োগিকভাবেও সত্যি।
জানা গেছে, বছরদুয়েক আগে মার্কিন চিকিৎসকরা মাথাব্যথানাশক এই ডিভাইস স্থাপন করেছিলেন এক রোগীর মাথায়। মাথার খুলি লেপ্টে থাকা চামড়ার যে কোনো অংশে কেটে এটি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেলাই করে দেওয়া হয় জায়গাটা। যখনই ওই রোগী মাথাব্যথা অনুভব করবেন, তাকে কেবল একটি কাজই করতে হবে। পিঠের নিচের দিকে ফিট করে দেওয়া ছোট্ট একটি কন্ট্রোল বক্সে হাত দিয়ে ম্যাগনেট ট্রিগারে হাত ছোঁয়ালেই মামলা খতম। মাথার ভেতর স্থাপিত ডিভাইসটা কাজ শুরু করে দেবে। ব্যথার অনুভূতিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে ওই ডিভাইস।
এই ডিভাইসটি শুধুমাত্র মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটা স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যথার অনুভূতির জানান দেয় ওই স্নায়ুটাই। ট্রিগার থেকে বৈদ্যুতিক স্পর্শেই তা নিমেষে দূর করে দেয় অনুভূতিকে। এমনভাবেই কাজ করে এই ডিভাইসটি।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, এটাকে মাথাব্যথার সর্বাধুনিক চিকিৎসা হিসেবে দাবি করেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, মাথার এমন কোনো ব্যথা নেই, যা এতে সাড়া দেবে না। যে তারের সঙ্গে মাথার চামড়ার নিচের ডিভাইসটি সংযুক্ত, সেটি যন্ত্রণার শিকার নার্ভকে উদ্দীপ্ত করবে এবং তাতে যন্ত্রণার অনুভূতিটা কমে স্থিতাবস্থায় চলে আসবে আস্তে আস্তে। এভাবেই ডিভাইসটি কাজ করবে। এতোদিন মানুষ মাথাব্যথার জন্য যেভাবে কষ্ট করতেন, এই ডিভাইসটি আবিষ্কারের ফলে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। তবে ডিভাইসটি মাথায় সেট করতে কত কি খরচ হবে তা জানানো হয়নি। তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল।