দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছোট বেলায় একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এবার তাকে দেখা গেলো কনে সাজে! কিন্তু কেনো?
শিশুশিল্পী হিসেবে দীঘির খ্যাতি ছিল আকাশচুম্বী। সেই ছোট্ট দীঘি এখন পুরোদস্তুর একজন নায়িকা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সিনেমা ও ওয়েবসিরিজে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
হঠাৎ করেই দীঘির বেশ কয়েকটি ছবি দেখে রীতিমতো চমকে গেছেন ভক্তরা! কারণ হলো, কনে সাজে নিজেকে মেলে ধরেছেন এই নায়িকা; ভক্তদের মধ্যেও ওঠে নানা কৌতূহল এবং প্রশ্ন- তবে কী বিয়ের পিঁড়ি থেকে সরাসরি ধরা দিয়েছেন দীঘি?
অবশ্য কনে সেজে বা ব্রাইডাল লুকে ধরা দেওয়াটা দীঘির ক্ষেত্রে নতুন কিছুই নয়। ইতিপূর্বেও বহুবার কনে সেজেছেন এই নায়িকা। আবারও সাজলেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একগুচ্ছ ছবি প্রকাশ করেন দীঘি, যেখানে এই নায়িকাকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে বেনারসি ঘরানার কনের পোশাকে।
এ ছাড়াও ভারি গহনায় সেজেছেন দীঘি; মাথায় টিকলি পরেছেন, কানে দিয়েছেন ঝুমকা, গলায় হার, হাতে চুড়ি, ও চোখে-মুখে বোল্ড মেকআপের ছোঁয়া- সব মিলিয়ে যেনো এক রাজকীয় কনের আবহ!
দীঘির এই কনে রূপ ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যেই সাড়া ফেলেছে। অনেকের মন্তব্য হলো- দীঘি কী তবে বিয়ে করতে যাচ্ছেন? তবে আদতে এটি শুধুই ফটোশুট। তবে নেটিজেনদের একজন এও মন্তব্য করেছেন যে, এই রূপে যেনো বাস্তবেও আমরা দেখতে পায় দীঘিকে।
উল্লেখ্য, দীঘির সর্বশেষ সিনেমা ‘জংলি’। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া এম রহিম পরিচালিত এই সিনেমাটিতে দীঘির নায়ক হিসেবে ছিলেন সিয়াম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org