দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যা লেগেই থাকে। তবে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের প্রচেষ্টাতেই সম্পর্ক সুখের হয়। তবে অনেক সময় কালো মেঘ এমনভাবে নেমে আসে যে সম্পর্কেও তখন চির ধরে যায়।

ছোটখাটো বিষয়ে নিয়ে মতবিরোধ থাকতেই পারে, অনেক সময় তর্ক-বিতর্ক বড় অশান্তির ঝড় বয়ে আনে। ঝগড়া-অশান্তির মাধ্যমে কখনওই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। বরং সম্পর্কে জটিলতা বাড়তেই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে করে না পড়তে হয়, সেইজন্য দু’জনে মিলে মাত্র কয়েকটি টিপস মেনে চললে সমস্যা থাকবে না।
ধৈর্য হারাবেন না
সমস্যা যা-ই আসুক না কেনো, যে বিষয়েই মনোমালিন্য হোক, একে অন্যের প্রতি কখনও ধৈর্য হারাবেন না। ধৈর্য হারালে সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে না। উল্টো সম্পর্ক জটিল হতে শুরু করবে। বরং মন দিয়ে সঙ্গীর কথা শুনতে হবে। তারসঙ্গে সমস্ত বিষয় আলোচনা করুন। এতে করে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
একে অপরকে সময় দিন
সম্পর্কের মাঝে টানাপড়েন আসবে সেটিই স্বাভাবিক। তবে একে অন্যকে ছেড়ে যাওয়ার কথা কখনও ভাববেন না। দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজের ব্যস্ততা থাকে। তবে সেই ব্যস্ততার মধ্যেও সঙ্গীকে সময় দিতে হবে। অন্তত দিনের ৩০ মিনিট হলেও শুধু একে অন্যের সঙ্গে কাটান। দিনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোও একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন। গল্প করুন এবং কোনও সমস্যা থাকলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।
সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন
আপনার সঙ্গী আসলে কী চাইছে ও কেনো চাইছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করুন। সঙ্গীর সঙ্গে কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। সঙ্গীর যে জিনিসটা আপনার পছন্দ, সেটি আপনার অপছন্দও হতে পারে। তবে সঙ্গীকে বোঝার ও নিজে কী চাইছেন সেটিও সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। আর একে অন্যের মন বুঝতে পারলে, দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিক থাকলে সম্পর্কে কখনও চির ধরবে না। সেইসঙ্গে সম্পর্ক মধুর হয়ে উঠবে।
ভালোবাসা প্রকাশ করুন
প্রতিদিন হয়তো সঙ্গীর সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত কাটাতে পারেন না। তবে চেষ্টা করুন সব সময়ই ভালোবাসা প্রকাশ করতে। সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কোনও রকম ক্ষতি নেই। এ ছাড়াও সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠুন। ভালোবাসা দিয়ে যে কোনও অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে চাইলে ভালোবাসাকেই প্রথম সারিতে রাখতে হবে আপনাকে- তাহলে কোনো সমস্যায় তখন সমস্যা হয়ে দেখা দেবে না। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org