মেনোপজ়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫০ পেরোনোর পর মেনোপজ়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। তবে তারপরও দেখে বয়স বোঝার উপায় নেই। নির্মেদ শরীর, উজ্জ্বল ত্বক থাকে অনেকের। এর কারণ কী? এই সময় তাহলে কীভাবে চলতে হবে?

সাধারণত মেনোপজ়ের পর মহিলাদের জীবন অনেকটা বদলে যায়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রোগ তখন দেখা দেয়। এই সময় ওজন বাড়তে থাকে। অপরদিকে দুর্বল হয়ে পড়ে বিপাক হার। ঘন ঘন মুড সুইং হয় এই সময়। এইসব সমস্যা লাইফস্টাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তারই টিপস শেয়ার করা হলো আজ।

এই বিষয়ে টিপস নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ৫৬ বছর বয়সী এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভাগশ্রী।

Related Post

ভাগশ্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, ‘পোস্ট মেনোপজ়ের পর কারও জীবন শেষ হয়ে যায় না, বরং এই সময় থেকেই নিজের প্রতি বেশি যত্ন নেওয়া শুরু করতে হয়। আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যত্ন নিতে হবে ও সক্রিয় থাকতে হবে। মেটাবলিজম ধীর হলে সমস্যা আরও বাড়বে। এই অভিনেত্রী বলেছেন, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও সঠিক উপায়ে মেনোপজ়ের সঙ্গে লড়াই করুন।’

মেনোপজ়ের মুড সুইং, হট ফ্ল্যাশ কিংবা শারীরিক অস্বস্তি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। ভাগ্যশ্রী এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছেন। তার ভাষায়, ‘মেনোপজ়ের ইস্ট্রোজেন কম হওয়ায় সরাসরি হার্টের উপর প্রভাবও পড়ে, এটা আমি এক্ষুণি জেনেছি। তাই মেনোপজ়ের পর কোলেস্টেরল এবং ব্লাড প্রেশার দু’টো চেক করা দরকার।’ সেইসঙ্গে ডায়েটে ম্যাগনেশিয়াম যোগ করার কথাও বলেছেন এই নায়িকা।

এক্সারসাইজ় এবং ডায়েট

মেনোপজ়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি। সেইসঙ্গে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ় দুর্দান্ত সাহায্যও করে। একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করাটা জরুরি। এক্সারসাইজ় করলে রাতে ঘুম ভালো হয়।

সাধারণত মেনোপজ়ের পর অনেকেই হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যাতে ভোগেন। তাই ডায়েটে আপনাকে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম অবশ্যই রাখতে হবে। দুধ-ডিম বেশি করে খেতে হবে। সেইসঙ্গে স্ট্রেস কমাতে ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এই ক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ দারুণ কাজ দেবে। দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতে হলে পোস্ত, তিসির দানা, ওটস, ডালিয়ার মতো দানাশস্যও খেতে পারেন।

হাইড্রেশন এবং ঘুম

মেনোপজ়ের পর হট ফ্ল্যাশ খুবই সাধারণ সমস্যা। এতে করে হঠাৎই শরীরে গরম অনুভব হয়। এই সমস্যা এড়াতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে হট ফ্ল্যাশের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। শরীরের তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিক।

মেনোপজ়ের পর রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে অনেকেই ঘেমে-নেয়ে স্নান হয়ে যায়। অস্বাভাবিক ঘামও হয়। এতে করে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এমন সমস্যা এড়িয়ে যেতে ‘স্লিপ হাইজিন’ মেনে চলুন। ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে ফোন ঘাঁটবেন না। ডিনারে খাবার খেতে হবে। বেডরুমের তাপমাত্রাও আরামদায়ক হওয়া দরকার। এতে শারীরিক অস্বস্তি এড়িয়ে যেতে পারবেন ও ঘুমও ভালো হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>

করনা সম্পর্কে নতুন করে জরুরী সতর্কতা

আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।

১.⁠ ⁠COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:

i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।

২.⁠ ⁠এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।

৩.⁠ ⁠উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।

৪.⁠ ⁠তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।

৫.⁠ ⁠কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।

এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।

৬.⁠ ⁠যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।

এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।

সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।

✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।

ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ২০, ২০২৫ 5:01 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

View Comments

Recent Posts

“ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…

% দিন আগে

তুরস্কে বিড়াল পেল নাগরিকত্বের স্বীকৃতি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…

% দিন আগে

এক অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শসার পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…

% দিন আগে

অ্যাপল ও গুগল সাইবার হামলার বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…

% দিন আগে

টমেটোর গুণাগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…

% দিন আগে