দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ন্যাটো সদস্য দেশের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন প্রবেশের পর ‘বিদেশি পারমাণবিক অস্ত্র’ মোতায়েন করতে আগ্রহ প্রকাশ করলো পোল্যান্ড। সেইসঙ্গে ইউরোপের দেশেটি নিজেরাই পারমাণবিক শক্তির বিকাশও করতে চায়।
স্থানীয় এলসিআই টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ক্যারল নওরোকি এই কথায় বলেছেন।
তিনি বলেন যে, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের পারমাণবিক ভাগাভাগি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণও করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন যে, দেশের নিজস্ব পারমাণবিক প্রযুক্তিও থাকা উচিত, যারমধ্যে পারমাণবিক শক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে পোল্যান্ড নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পরিকল্পনা করছে কি-না, তা তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে এখন বেশি কথা বলা ঠিক হবে না।
ইতিপূর্বে গত সপ্তাহে পোল্যান্ড জানায় যে, বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে কয়েকটি রাশিয়ান ড্রোন তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। ন্যাটো মিত্রদের সহায়তায় সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
সেই সময় পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেন যে, ন্যাটোর কোনো সদস্যের আকাশসীমায় রুশ ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। তার ধারণা মতে, ‘বিপুল সংখ্যক’ ড্রোন ওই সময় পোল্যান্ডে ঢুকে পড়েছিল।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর জরুরি বৈঠকের পর টাস্ক বলেছেন, ‘আমরা সম্ভবত বড় ধরণের উস্কানির মুখে পড়ে গেছি। পরিস্থিতি গুরুতর ও এই ধরনের হামলা প্রতিহত করতে দেশ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।’
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ 5:01 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…
View Comments
Awesome! Its genuinely remarkable post, I have got much clear idea regarding from this post
I do not even understand how I ended up here, but I assumed this publish used to be great