দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হলিউডের কিংবদন্তি নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ সিরিজে জন্য এবার যুক্ত হলেন বিশ্বখ্যাত পপতারকা মাইলি সাইরাস।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিনির্ভর এবং আবেগঘন এই সিরিজের আসন্ন চলচ্চিত্র ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর জন্য মাইলি একটি গান লিখেছেন এবং গেয়েছেন, যার শিরোনাম হলো ‘ড্রিম অ্যাস ওয়ান’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাইলি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার কথায়, ‘এই গানটি আমার জীবনের খুবই কাছের। এটি শুধু একটি সাউন্ডট্র্যাকই নয়; বরং এটি এক ধরনের নিরাময়। জীবনের এক ধ্বংসস্তুপ হতে আবার উঠে দাঁড়ানোর গল্প এতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘জেমস ক্যামেরনের দৃষ্টিভঙ্গি আমার মনে গভীরভাবে ছাপ ফেলেছে। তার ছবির বার্তা, প্রকৃতি এবং মানবতার প্রতি যে সংবেদনশীলতা, সেটি এই গানের প্রতিটি শব্দেই প্রতিফলিত হয়েছে।’
গানটি যৌথভাবে লিখেছেন মাইলি, মার্ক রনসন এবং অ্যান্ড্রু ওয়ায়াট। এই ৩ জনই একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী এবং প্রযোজক।
উল্লেখ্য যে, রনসন এবং ওয়ায়াট মাইলির আগের হিট গান ‘নাথিং ব্রেকস লাইক অ্য হার্ট’ এবং ‘ফ্লাওয়ার্স’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রযোজনা সংস্থা টোয়েন্টি সেঞ্চুরি স্টুডিওস সূত্রে জানা যায়, ‘ড্রিম অ্যাস ওয়ান’ গানটি ছবির মূল বার্তা হলো ঐক্য, পুনর্জন্ম ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা তুলে ধরবে। গানটি চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যের পর ‘অ্যান্ড ক্রেডিটস’-এ শোনা যাবে, যা দর্শকদের মনে আবেগ জাগিয়ে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার সিরিজের এই নতুন কিস্তি মুক্তি পাচ্ছে ২০২৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর। আগের দুই পর্বের মতোই এবার দেখা যাবে প্যান্ডোরার বিস্ময়কর জগৎ, মানব এবং নাভি জাতির নতুন সংঘাত ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীর দৃষ্টিপাত। চলচ্চিত্রে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি এবার সংগীতেও থাকবে বিশেষ আবেগ এবং মানবিকতা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org