দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ তানিয়া বৃষ্টি। এক দশক পূর্বে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে এই অভিনেত্রীর। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করলেও নাটকেই তাকে বেশি অভিনয় করতে দেখা যায়।

দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায় দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে ২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় এই অভিনেত্রীর। তারপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় কোনো সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময় আবারও নিয়মিত হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পায় তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’ সিনেমা। বিরতির পর আবারও সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া।
কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণেই নির্মিত হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনী। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, সায়রা আক্তার জাহান, রাকিব হোসেন ইভন, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এই মাসের শুরুতেই চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে এই সিনেমাটির শুটিং। চলবে আরও বেশ কিছুদিন ধরে। সম্প্রতি শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবরও জানিয়েছেন। সেই ছবিতে দেখা যায়, একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন আদর আজাদ।
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা ও প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এই বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চান এই নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতেই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনাও রয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org