দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে সারাদেশে গৌরবের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন করবে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে দেশজুড়ে মশালযাত্রা কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ‘বিজয়ের মাসে বিজয়ের মশাল’ শীর্ষক মশালযাত্রা কর্মসূচিটি চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে শুরু হবে।
গতকাল (শনিবার) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে আয়োজন করা হচ্ছে ১৬ দিনব্যাপী মশালযাত্রা। এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যেরা।
বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ এবং জনগণের বিজয়ের এই আনন্দঘন উপলক্ষ আরো বর্ণিল আনন্দময় এবং অর্থবহ করতে এবারও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারা দেশে সাড়ম্বরে গৌরবের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করতে আলোচনাসভা ও বিজয়ের রোড শোসহ মাসব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির উদ্যোগে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ কর্মসূচি ‘বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ হলো দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।”
১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চট্টগ্রাম থেকে মশালযাত্রা শুরু হবে। এতে হাজারো মানুষ অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বিজয় মশাল যাত্রা। মশাল মিছিলটি কালুরঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে একই দিন চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছবে। বিজয় মিছিলের মশাল বহন করবেন ১৯৭১ সালের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০২৪ সালের একজন জুলাইযোদ্ধা।
সেখান থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবে। ২ ডিসেম্বর কুমিল্লায় মশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ হয়ে মশাল যাত্রা যাবে সিলেটে। ৪ ডিসেম্বর সিলেটে জনসমাবেশ হবে। সেখান থেকে মশাল যাত্রা যাবে কিশোরগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহে। ৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হবে বিজয়ের মশাল সমাবেশ। ময়মনসিংহ থেকে মশাল যাত্রা যাবে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়ায়। ৮ ডিসেম্বর বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হবে বিজয়ের মশাল সমাবেশ। সেখান থেকে মশালযাত্রা গাইবান্ধা হয়ে রংপুর যাবে। ৯ ডিসেম্বর রংপুরে বিজয় মশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মশাল যাত্রা নওগাঁ হয়ে রাজশাহীতে পৌঁছাবে। ১০ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে মশালযাত্রা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ হয়ে খুলনায় যাবে।
১২ ডিসেম্বর খুলনায় সমাবেশ হবে। সেখানে কর্মসূচি শেষে ১৩ ডিসেম্বর বাগেরহাট-পিরোজপুর-ঝালকাঠি হয়ে বিজয়ের মশাল যাবে বরিশাল। বরিশালে অনুষ্ঠিত হবে মশাল সমাবেশ। বরিশাল থেকে মাদারীপুর হয়ে ১৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌঁছাবে মশালযাত্রা। ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হবে মশাল সমাবেশ। সেখান থেকে মশাল যাত্রার সর্বশেষ গন্তব্য রাজধানী ঢাকা। মশালযাত্রা ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ হয়ে শেষ হবে রাজধানী ঢাকায়। ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিশাল মশাল সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিজয়ের মশাল যাত্রা কর্মসূচি।
প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাইযোদ্ধা। এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের গান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার, জাসাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হবে। একই সঙ্গে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি। এই পুরো আয়োজনে থাকবে বিএনপির থিম সং, ‘সবার আগে বাংলাদেশ।’
সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “১৯৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত লাখো মানুষ শহীদ হয়েছে। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ৭১-এর স্বাধীন বাংলাদেশ, ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের আধিপত্যবাদবিরোধী তাঁবেদারমুক্ত বাংলাদেশ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী বাংলাদেশ এবং ২০২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন প্রতিটি বাঁকে এত মানুষ কেন অকাতরে জীবন দিয়েছিলেন? কী ছিল শহীদদের স্বপ্ন? এবারের বিজয় দিবসের প্রত্যয় হোক শহীদদের সেই স্বপ্ন পূরণের বাংলাদেশ। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের সামনে এক বিশাল সুযোগ।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 2:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা তার বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন-“ফ্লোটিং…