দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে নাদির শাহকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ২০১২ সালের কোনো এক ম্যাচে টাকার বিনিময়ে নাদির শাহ ভুল সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল। সেখান থেকে দোষী প্রমাণিত হয়ে বিসিবি এই সিদ্ধান্ত নেয়। শাস্তি কমানর লক্ষ্যে, বিসিবি’র কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন নাদির শাহ।
তিনি বলেছেন, “আমি বোর্ড প্রেসিডেন্ট বরাবর আবেদন করেছি এবং চিঠিটি গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিইও নিজামুদ্দিন আহমেদ। আমি আমার শাস্তি’র প্রায় এক বছর পার করে ফেলেছি। আমি বোর্ডের কাছে আবেদন করেছি যে আমার শাস্তি কিছুতা কমিয়ে যদি ২ থেকে ৩ বছর করা হতো তবে আমি আবারও আম্পায়ারিংয়ে ফিরতে পারতাম।”
সেই লুকোনো টিভি রিপোর্টে বেড়িয়ে এসেছিলো নাদির শাহ সহ ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার আরও কয়েকজন আম্পায়ার ঘরোয়া টি২০ লীগগুলোতে অর্থের বিনিময়ে মাঠে ভুল সিদ্ধান্ত দিতেন। সমস্যা হলো, ছদ্মবেশী ঐ টিভি রিপোর্টারের কাছে নাদির শাহ অর্থের বিনিময়ে বাকী আম্পায়ারদের তথ্য ফাঁস করতে চেয়েছিলেন, আর এতে তিনি নিজেই ফেঁসে যান!
মাত্র ৪০টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ এবং ৩টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ পরিচালনা করা নাদির শাহ ঐ ছদ্মবেশী রিপোর্টারের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন আর বাকী আম্পায়ারদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ইন্টারনেটের ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে।
পরিশেষে নাদির শাহ বলেন, তিনি একটা সময় নিজের ভুল বুঝতে পেরে ঐ রিপোর্টারকে সহযোগীতা করতে চেয়েছিলেন কারণ দিল্লী হোটেলে থাকার সময়ে তাঁর কাছে কিছু হুমকী এসেছিলো। উল্লেখ্য, তদন্ত শেষে তিনি বিসিবি’র কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেন।
তথ্যসূত্রঃ ক্রিকইনফো