দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যতই দিন যাচ্ছে, সারা বিশ্বে ততই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এই ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রাথমিকভাবে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং কানাডায় সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে ফেসবুকের এই বিশেষ কর্মসূচী।
সম্প্রতি আমেরিকার সরকারের কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন বিভাগের অধীনে সেপ্টেম্বর মাসকে ‘আত্মহত্যা প্রতিহতকরণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণাকে সামনে রেখেই এই বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিলো ফেসবুক। আত্মহত্যা প্রতিহত করার জন্যে ১.১৫ বিলিয়ন গ্রাহকের এই ওয়েবসাইটটি বেশ দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া তাদের সাইটে যুক্ত করেছে।
ধরা যাক, ক নামের এক ব্যক্তি দেখতে পেলো তার খ নামের বন্ধুটি এমন একটি পোস্ট দিয়েছে, যা দেখে তার মনে হচ্ছে খ হয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবছে বা সেরকম কিছুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন মনে হওয়া মাত্র ক পোস্টটি রিপোর্ট লিঙ্কে গিয়ে সুইসাইড অপশনে ক্লিক করবে। সেখানে ক এর কাছে ফেসবুকের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা প্রতিহতকরণ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য পাঠানো হবে, যেগুলো ক চাইলে সরাসরি তার খ বন্ধুকে পাঠিয়ে দিতে পারে। এছাড়া ফেসবুক ওয়ালের ওপরে সার্চ অপশনে অথবা ফেসবুক হেল্প সেন্টারে গিয়েও ক আত্মহত্যা প্রতিহতকরণে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়া হেল্প সেন্টার থেকে স্থানীয় কিছু আত্মহত্যা প্রতিহতকরণ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাও পেতে পারে বন্ধু ক। শুধু তাই নয়, ক চাইলে পোস্টটি সম্পর্কে এমনভাবেও রিপোর্ট করতে পারবে যাতে ফেসবুক সরাসরি তার আত্মহননেচ্ছু বন্ধুটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে ফেসবুক প্রথমে পোস্টটি আত্মহত্যার সম্ভাবনা বহন করছে কিনা তা যাচাই করে দেখবে। পরবর্তীতে আত্মহত্যা সম্ভাব্য প্রতিহত করার জন্য ফেসবুক খ এর স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারে।
শুধু অনলাইনেই নয়, ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জো সুলিভান জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩৩টি আত্মহত্যা প্রতিহতকরণ সংগঠনকে এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন। ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনা করলে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নেয়া সবচেয়ে বড় আত্মহত্যা প্রতিহতকরণ কর্মসূচি এটি। সবচেয়ে বড় এই কর্মসূচিটি সবচেয়ে কার্যকর কর্মসূচি হয়ে উঠতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র: MensXP