দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুলকে আটবছর ও দশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীকে দশ বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালে দোষী প্রমাণিত হওয়া শ্রীলঙ্কার কৌশল লুকুয়ারাচ্চিকে দেড় বছর ও লু ভিনসেন্টকে ৩ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার দশ দিন পর বুধবার বিকেল ৩টায় গুলশান-২ এ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গঠিত ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের চূড়ান্ত শাস্তির মেয়াদ ঘোষণা করা হয়।
বিচারপতি আব্দুর রশিদ রায় ঘোষণার পর জানান অভিযুক্তরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন ১৫ দিনের মাঝে। তিনি আরও বলেন, “বিচারের বিষয়ে আইসিসি এবং আকসু আবেদন করেছিলো ফলে তাদের এখন রায় বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আশরাফুলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজ হাতে পেলেই তার আইন জীবীর সাথে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।
জানা গেছে, আশরাফুলকে চারটি অভিযোগে আলাদাভাবে ৮ বছর করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে তিনি এই শাস্তি একসাথেই ভোগ করবেন। এছাড়া শাস্তিভোগকালে তার আচরণে বিসিবি এবং আইসিসি সন্তুষ্ট হলে এবং তিনি আবেদন করলে তাকে ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনা যাবে।
এর আগে গত ৮ জুন স্পট ফিক্সিংয়ের রায় ঘোষণা করা হয়। ওই দিন বিকেল ৪টায় রায়ের কপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আশরাফুল জানান, অপরাধ যেহেতু করেছি আমাকে শাস্তি ভোগ করতেই হবে, তবে আমি আমার সমর্থক এবং দেশের জন্য আবার একবারের জন্য হলেও খেলায় ফিরতে চাই। আমার থেকে শিক্ষা নিয়ে আর জেনো কনো খেলোয়াড় এমন অপরাধের ফাঁদে পা না দেয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত সংক্ষিপ্ত রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক, বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন ও পেসার মাহবুবুল আলম। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌরব রাওয়াদ এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ড্যারেন স্টিভেন্সও নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি আব্দুর রশিদকে ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান নিয়োগ করে বিসিবি। তিনি বিধি অনুযায়ী ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের ১০ সদস্য নিয়োগ করেন। ১০ নভেম্বর প্যানেলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। দুই সদস্য হলেন আজমামুল হোসেন কিউসি ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।